পাঞ্জাবকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিল কলকাতা – jagonews24.com

কলকাতা নিউজ

বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করতে প্রাণপন চেষ্টা করলেন শুভমান গিল আর ইয়ন মরগ্যান। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছুই করতে পারলেন না। ফলে শারজায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে পুঁজিটা বড় হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কলকাতা। ১০ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে গেইলের ক্যাচ হন নীতিশ রানা (০)।

পরের ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। রাহুল ত্রিপাথি (৭) আর দিনেশ কার্তিক (০) দুজনকেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান এই পেসার। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে মরগ্যান আর গিল ৪৮ বলে ৮১ রানের ঝড়ো জুটিতে দলকে বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।

দশম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন লেগস্পিনার রবি বিষ্ণু। ২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন মরগ্যান। এরপরই ফের বিপদ শুরু হয় কলকাতার।

মরগ্যান ফেরার পরের ওভারে সুনিল নারিনকে (৬) বোল্ড করেন ক্রিস জর্ডান। একটা পর্যায়ে ১১৪ রানে ৭ উইকেট হারায় কলকাতা। তবে এরই মধ্যে একটা প্রান্ত ধরে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টাটা চালিয়ে গেছেন ওপেনিংয়ে নামা গিল।

দলীয় ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে শামিকে মারতে গিয়ে অবশেষে বাউন্ডারির কাছে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ হন গিল। ৪৫ বলে গড়া তার ৫৭ রানের ইনিংসটি ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় সাজানো।

শেষদিকে লুকি ফার্গুসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রান যোগ করে দিয়েছেন ঝড়ো গতিতে। ১৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন লোয়ার অর্ডারের এই ব্যাটসম্যান।

পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শামি। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। ২টি করে উইকেট নেন রবি বিষ্ণু আর ক্রিস জর্ডান।

এমএমআর/এমকেএইচ

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন জাগো নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন – [email protected]

Source: https://www.jagonews24.com/sports/cricket/619736