এএফসি কাপের প্লে-অফের শেষ ধাপে আবাহনী খেলবে ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।
দুই বাংলার দুই জনপ্রিয় ক্লাবের লড়াই ঘিরে এখন আলোচনা ঢাকা ও কলকাতায়। যারা জিতবে তারা সুযোগ পাবে এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপে। যেখানে সরাসরি নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব।
২০১৭ সালে দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছিল এএফসি কাপে ঢাকায়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছি। ১৯ এপ্রিল মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন বলেছেন তাদের চোখ গ্রুপ পর্বে।
জাগো নিউজ: মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে না খেলেই জিতে পরের রাউন্ডে গেলেন। কেমন লাগছে এ জয়টা?
জীবন: আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি ছিল মালদ্বীপের ক্লাবটির বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। খেলা হলে এবং জিতে যদি পরের রাউন্ডে যেতাম তাহলে ভালো লাগতো। এই জয়ে কোন তৃপ্তি নেই।
জাগো নিউজ: এখন তো ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচ। তাও কলকাতায়। কেমন ম্যাচ হবে এবং জয়ে কতটা আশাবাদী?
জীবন: আমাদের চোখ শুরু থেকেই গ্রুপ পর্বে। মোহনবাগান অত্যন্ত ভালো ও শক্তিশালী দল। তবে আমরাও শক্তিশালী। আমরা জিততেই কলকাতা যাবো।
জাগো নিউজ: মোহনবাগান ও আবাহনীর শক্তির পার্থক্য কী?
জীবন: মোহনবাগানের আক্রমণভাগ ভালো। শ্রীলংকার ব্লু স্টারের বিপক্ষে আগের রাতের ম্যাচটি দেখেছি। ওদের ১০ নম্বর প্লেয়ার ফ্রান্সের আদনান হুগো খুবই ভালো। ওদের মাঝমাঠের চালিকাশক্তি এই হুগো।
জাগো নিউজ: আবাহনীর শক্তি কোথায়?
জীবন: আমাদের মাঝে একটু খারাপ সময় গিয়েছিল। এখন সবাই আগের মতো ফিট। প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচটা আমরা খুব ভালোভাবে জিতেছি।
জাগো নিউজ: দলে কোনো চোটজনিত সমস্যা নেই তো?
জীবন: না। এখন সবাই শতভাগ ফিট। আমরা সল্টলেকে ম্যাচটি খেলতে মুখিয়ে আছি। এখন মাঠে সেরাটা দিতে হবে। আশা করি ভালো একটা ম্যাচ হবে।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
জীবন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/এসএএস/এএসএম
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন জাগো নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন – [email protected]
Source: https://www.jagonews24.com/sports/football/754081