Churches in Kolkata: সময় কাটিয়ে আসুন পুরনো কিছু গির্জায়, নতুন করে চিনে নিন কলকাতাকে – Anandabazar Patrika

কলকাতা নিউজ

ক্রাইস্ট দ্য কিং চার্চ

ব্যতিক্রমী স্থাপত্য নকশার আর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ক্রাইস্ট দ্য কিং চার্চের কথা। পার্ক স্ট্রিটের কাছাকাছি জনবহুল রাস্তায় অবস্থিত এই গির্জার ভিতরের পরিবেশ কিন্তু অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। মাতা মেরির একটি মূর্তি এই চার্চের ভিতর আপনাকে আকৃষ্ট করবে। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত এই চত্বরে আপনি ঢুকতে পারবেন।

আর্মেনিয়ান চার্চ

১৭২৪ সালে নির্মিত কলকাতার প্রাচীনতম গির্জা হল বড়বাজারের কাছে অবস্থিত এই আর্মেনিয়ান চার্চ। এই গির্জাটি একটি কবরস্থান দ্বারা বেষ্টিত যেখানে ১৬৩০ সালের প্রাচীনতম সমাধিও দেখতে পাওয়া যায়। গির্জার অভ্যন্তরটি ভাল ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ভিতরে রয়েছে একটি ছবির সংগ্রহশালা। এই চার্চের ভিতরের মার্বেলের স্থাপত্যকীর্তি দর্শকদের মুগ্ধ করে।

সেন্ট জনস চার্চ

সেন্ট জনস চার্চটি মূলত একটি ক্যাথিড্রাল ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক কলকাতা শহরে নির্মিত প্রথম ভবনগুলির মধ্যে এটি একটি। কলকাতার তৃতীয় প্রাচীনতম গির্জা, সেন্ট জনস চার্চ ১৮৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতার অ্যাংলিকান ক্যাথেড্রাল হিসাবে কাজ করে। এর চত্বরে অসংখ্য স্মৃতিসৌধ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ব্ল্যাক হোলের স্মৃতি, দ্বিতীয় রোহিলা যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ এবং লেডি ক্যানিংয়ের স্মৃতিসৌধ। এর একটি বৈশিষ্ট্য হল গির্জার মেঝে, যা গাঢ় নীল-কালো পাথর দিয়ে তৈরি। বিবাদী বাগের কাছে অবস্থিত এই গির্জা আপনি খোলা পাবেন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

সেন্ট অ্যান্ড্রুস চার্চ

এটি ভারতের একমাত্র স্কটিশ গির্জা। এই চার্চের লম্বা চূড়া একে কলকাতা শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছে। দুই শতাব্দী আগে ১৮১৮ সালে সর্ব প্রথম জনসাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে অনেক বার সংস্কার করা হয়েছে এই গির্জা। ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত এই চার্চে যেতে হলে সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটোর মধ্যে পৌঁছতে হবে আপনাকে।

Source: https://www.anandabazar.com/aamarkolkata/roam-around/spend-some-time-in-some-famous-churches-at-kolkata-dgtl/cid/1330466