শহরবাসীর সঙ্গে হলুদ ট্যাক্সির রয়েছে অন্য এক সখ্যতা। এটাই ছিল কলকাতার ট্যাক্সির আদিপুরুষ। দেখতে আহামরি কিছু না হলেও ভারতের এক সময়ের সরল সাদাসিধে এই গাড়ি ছিল আভিজাত্যের চিহ্ন।
Updated: June 24, 2021 2:51:19 pm
কলকাতা পরিচিত ফুটবল, রসগোল্লা, রবীন্দ্রনাথ ঠিক তেমনি হলুদ ট্যাক্সি তাদেরই মধ্যে একটা অন্যতম। হুগলি নদীর ধারে গড়ে ওঠা এক জনজীবন নাম কলকাতা। এই কলকাতার সঙ্গে হলুদ ট্যাক্সির সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
অ্যাপক্যাবের যুগে হলুদ ট্যাক্সির চাহিদা একটু কম থাকলেও শহরে এখনও রমরম করে চলছে। এখনও এই শহরে রয়েছে প্রায় ২২,০০০-এর মতো হলুদ ট্যাক্সি। ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ হয়তো আছে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
কিন্তু শহরবাসীর সঙ্গে হলুদ ট্যাক্সির রয়েছে অন্য এক সখ্যতা। দেখতে আহামরি কিছু না হলেও ভারতের এক সময়ের সরল সাদাসিধে এই গাড়ি ছিল আভিজাত্যের চিহ্ন। ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় ভারতের প্রথম তৈরি গাড়ির উৎপাদন। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
২০১৭তে হিন্দুস্তান মোটর্স ফরাসি গাড়ি কোম্পানি পিজ্যোঁর কাছে বিক্রি করে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। গত কয়েক বছরে অ্যাপক্যাবের চাহিদার সঙ্গে এমনিতেই পিছিয়ে পড়ছিল কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি। কিন্তু গত বছর লকডাউনের পর থেকে শোচনীয় অবস্থা কলকাতার আইকনিক গাড়ির। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
চরম সংকটে দিন কাটছে হলুদ ট্যাক্সি চালকদের। পেট চালানোয় দায় হয়ে গিয়েছে তাঁদের। কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির এত খারাপ অবস্থা কখনও ছিল না। ১৯০৯ সালে এই শহরে প্রথম ট্যাক্সি আসে। বর্তমানে যেখানে এখন ফ্র্যাঙ্ক রস কোম্পানির ওষুধের দোকান রয়েছে চৌরঙ্গী রোডের সেখানেই ছিল ফরাসি শেভিজাঁ কোম্পানির অফিস। তারাই কলকাতার পথে প্রথম ট্যাক্সি চালু করে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
তখন চৌরঙ্গী থেকে মিটারওয়ালা দেওয়া গাড়ি পৌঁছে যেত দমদম, ব্যারাকপুর, বজবজ। দুই সিলিন্ডারের ছোট্ট ‘ক্যারন’, গাড়িগুলোয় মাত্র দুজন যাত্রী বসার সুযোগ থাকত। টকটকে লাল রঙের এই গাড়ি প্রতি মাইলে আট আনা ছিল নিদিষ্ট ভাড়া। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
এটায় ছিল কলকাতার ট্যাক্সির পূর্বপুরুষ। এর কিছু বছর পরে ব্যবসায় আসে ইন্ডিয়ান মোটর ট্যাক্সি ক্যাব এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। যাত্রীরা ভালবেসে বলতো ‘A’ কোম্পানি। যেহেতু সব ট্যাক্সির নম্বর শুরু হত ‘A’ অক্ষর দিয়ে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
১৯৬২ সালে কলকাতার ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের এই অ্যাম্বাসাডর গাড়িকে ট্যাক্সিতে পরিণত করার প্রস্তাব পেশ করে। প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে সেই বছরেই কলকাতায় নামে এই আইকনিক গাড়ি। ট্যাক্সির হলুদ রং নিয়ে কারও যদি কৌতূহল হয় তবে বলে রাখা ভাল, হলুদ রং খুব সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
প্রথম মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ি ও সেই সঙ্গে ভারতের প্রথম ডিজেল গাড়ি। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দমোটরে এই গাড়ি এসেম্বল করা হত। সেই সূত্র ধরে হিন্দমোটর পারিপার্শ্বিক এলাকাটা জমজমাট এক শহরে পরিণত হয়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
রাস্তায় নামার কিছু বছরের মধ্যে কলকাতার সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে এই ট্যাক্সি। প্রথমে ট্যাক্সিগুলো রং ছিল কালো এবং হলুদ। কালো ট্যাক্সি শুধু শহরের মধ্যেই থাকত। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
আর হলুদ ট্যাক্সি চলে যেত শহর থেকে দূরে। তারপর কখন আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় কালো রঙের ট্যাক্সি। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
আর হলুদ ট্যাক্সি হয়ে ওঠে কলকাতার নস্টালজিয়া। হয়ত নস্টালজিয়া খুব তাড়াতাড়ি আমরা হারিয়ে ফেলব। কলকাতা এবং তার হলুদ ট্যাক্সির ইতিহাস লেখা থাকবে বইয়ের পাতায়। এক্সপ্রেস ফটো-শশী ঘোষ
Web Title: Story of kolkata yellow taxi
Source: https://bengali.indianexpress.com/photos/kolkata-news/story-of-kolkata-yellow-taxi/