চিন্তা দক্ষিণ কলকাতা, সমস্যা আবাসন – এই সময়

কলকাতা নিউজ

হাইলাইটস

  • উত্তর বা মধ্য কলকাতা ততটা নয়, আপাতত দক্ষিণই বেশি চিন্তার কারণ!
  • পরিসংখ্যান বলছে, কালীঘাট, নিউ আলিপুর, ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, মুকুন্দপুর ও পাটুলির মতো দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকেই এখন করোনা-আক্রান্তর খবর বেশি মিলছে।
  • সেই তুলনায় মধ্য বা উত্তর কলকাতায় করোনা-আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটা কম।

এই সময়: উত্তর বা মধ্য কলকাতা ততটা নয়, আপাতত দক্ষিণই বেশি চিন্তার কারণ! পরিসংখ্যান বলছে, কালীঘাট, নিউ আলিপুর, ভবানীপুর, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, মুকুন্দপুর ও পাটুলির মতো দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকেই এখন করোনা-আক্রান্তর খবর বেশি মিলছে। সেই তুলনায় মধ্য বা উত্তর কলকাতায় করোনা-আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটা কম। প্রথমে কলকাতার বস্তি এলাকায় করোনা থাবা বসালেও পরে বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দারাই বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন করোনায়। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, এই পর্যায়েও করোনার প্রকোপ বেশি শহরের বিভিন্ন আবাসনে।

গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ৩০-৪০ বছর বয়সিরাই বেশি সংক্রামিত হচ্ছিলেন, এমনটা খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এখন অবশ্য কমবেশি সব বয়সের নাগরিকদের শরীরেই করোনার জীবাণু মিলছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর।

শনিবার রাজ্যে ২৬ হাজার ১১৪ জনের সোয়াব-নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৩৬ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলোর পাশাপাশি বীরভূমে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবন। শুক্রবার ওই জেলায় ১৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। শনিবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। বীরভূম লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলায় এ দিন ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের ধারণা, শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠে বাইরে থেকে আসা প্রচুর সংখ্যক মানুষের সমাগমের জেরেই বীরভূমে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধেই বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

শুক্রবারই কলকাতায় করোনা-আক্রান্তর সংখ্যা ৫০০ পেরিয়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এই আক্রান্তদের মধ্যে ৭০ শতাংশ হলেন বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দা এবং ৬৫ শতাংশের ঠিকানা দক্ষিণ কলকাতা। তবে এই আক্রান্তদের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সেই কারণে এখনই কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন তৈরির করার কথা পুর কর্তৃপক্ষ ভাবছেন না। তবে দক্ষিণ কলকাতার বস্তিগুলো থেকে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে করোনা-আক্রান্তর খবর নেই। সেই জন্যই প্রশ্ন উঠেছে, বস্তিতে আক্রান্তর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বহুতলে কেন সংক্রমণ বাড়ছে?

ভ্যাকসিন: বুস্টার ডোজেও নজর সরকারের
পুরসভা সূত্রে খবর, করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে গেলে যে সব নিয়ম মেনে চলার কথা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলে এসেছেন, মোটের উপর বস্তির বাসিন্দারা সে সব মেনে চললেও আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির গোড়া থেকেই নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বেশি। পুরসভার বক্তব্য, বহুতল আবাসনের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি হয়তো হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন, কিন্তু সেই আক্রান্তর বাড়ির লোকজন ঠিক ভাবে হোম কোয়ারান্টিনের নিয়ম মানছেন না। উল্টো দিকে, বস্তির কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের সব সদস্য সাধারণত ঘরেই থাকছেন বলে পুরসভার কর্তাদের পর্যবেক্ষণ। তা ছাড়া, পুরসভার বক্তব্য, বহুতল আবাসনের লিফ্‌টও সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ। বাসিন্দারা অনেকেই লিফ্‌ট ব্যবহার করার সময়ে মাস্ক পরছেন না, লিফ্‌ট নিয়মিত জীবাণুমুক্তও করা হচ্ছে না। এই সব কারণেই আবাসনে সংক্রমণ বাড়ছে বলে পুরসভার অভিমত।

imageদিনে লক্ষ আক্রান্তের দুয়ারে দেশ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দোলুইয়ের মতে, ‘অনেক বহুতল আবাসনেই এখন পার্টি হচ্ছে। বাইরের লোকের আনাগোনা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদেরও অনেকেই করোনার প্রভাব আর নেই মনে করে কাছাকাছি অল্প কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন।’ অনির্বাণ মনে করেন, নাগরিকরা সর্তক ও সচেতন না-হলে টেস্ট বাড়িয়েও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যাবে না।

imageফের নতুন করোনা স্ট্রেন! খোঁজ পেতেই নড়ে চড়ে বসল WHO
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।

Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/covid-19-cases-are-rising-in-south-kolkata/articleshow/81894123.cms