অনুব্রত ‘রাজনৈতিক দৈত্য’! জামিনের বিরোধিতা করে হাই কোর্টে বলল সিবিআই – Anandabazar Patrika

কলকাতা নিউজ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘ডন’ বলে আদালতে মন্তব্য করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। আর গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের বিরোধিতা করে তাঁকে ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ বলে উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জামিনের বিরোধিতা করে আবার আনা হল ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’।

Advertisement

মঙ্গলবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রতের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআই বনাম অনুব্রতের আইনজীবীর সওয়াল জবাবে রীতিমতো উত্তপ্ত ছিল আদালত কক্ষ।

অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল: এই মামলায় মোট ৯৫ জনকে সাক্ষী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩৩ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। বাকিদের সাক্ষ্য কবে নেওয়া হবে? অনুব্রত ১৪৫ ধরে জেলে রয়েছেন। একই মামলায় বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার-সহ অন্যতম অভিযুক্তরা তো জামিন পেয়ে গিয়েছেন!

সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ: তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হকের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে ৩৯টি কল করা হয়েছে। ওই এলাকার ৩টি হাট থেকে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হত। এই পুরো ‘অপারেশন’ সহজ করে দিতেন অনুব্রত। বলা ভাল, ওই এলাকার ‘রাজনৈতিক দৈত্য’ (পলিটিক্যাল জায়ান্ট) তিনি। অভিযোগের এক বছর পর অনুব্রতের বিরুদ্ধে একটি মামলায় এফআইআর করা হয়েছে। সেই মামলায় ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই জেরা শেষে মুখ খুললেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

‘ও যত্ন পায়নি একদম, আমি আর দিদি অন্ধকারে ছিলাম’, ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ রিনা চৌধুরী

‘ও যত্ন পায়নি একদম, আমি আর দিদি অন্ধকারে ছিলাম’, ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ রিনা চৌধুরী

অন্য দিকে, শিবঠাকুর মণ্ডলের মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়া নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা করে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এক বছর পর কী প্রয়োজন পড়েছিল যে হেফাজতে নিতে হল অনুব্রতকে? অনুব্রত কি কোনও হেনস্থা করেছিলেন ওই ব্যক্তিকে?’’ বিচারপতি বাগচী আরও বলেন, ‘‘কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য কি রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে? ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তো হেফাজতে (অনুব্রতকে) নেওয়া উচিত নয়।’’ এর পর সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘‘সতীশ কুমার কী ভাবে জামিন পেলেন? কেন সিবিআই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করল না? এখন কেন অনুব্রতকে হেফাজতে রাখতে মরিয়া সিবিআই?’’

এর পর মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাই কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের
Google News,
Twitter এবং
Instagram পেজ)

Source: https://news.google.com/__i/rss/rd/articles/CBMimAFodHRwczovL3d3dy5hbmFuZGFiYXphci5jb20vd2VzdC1iZW5nYWwva29sa2F0YS9jb3ctc211Z2dsaW5nLWNhc2UtYW51YnJhdGEtbW9uZGFsLWlzLWEtcG9saXRpY2FsLWdpYW50LWNiaS1zYXlzLWluLWNhbGN1dHRhLWhpZ2gtY291cnQtZGd0bC9jaWQvMTM5NjYwN9IBnAFodHRwczovL3d3dy5hbmFuZGFiYXphci5jb20vYW1wL3dlc3QtYmVuZ2FsL2tvbGthdGEvY293LXNtdWdnbGluZy1jYXNlLWFudWJyYXRhLW1vbmRhbC1pcy1hLXBvbGl0aWNhbC1naWFudC1jYmktc2F5cy1pbi1jYWxjdXR0YS1oaWdoLWNvdXJ0LWRndGwvY2lkLzEzOTY2MDc?oc=5