৭৫,০০০ টোকেন রাখাই সার, প্রথমদিনে কলকাতা মেট্রোয় বিক্রি হল না অর্ধেকও – HT Bangla

কলকাতা নিউজ

প্রায় ২০ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে যাত্রী সাধারণের জন্য পুনরায় টোকেন চালু করেছে মেট্রো। করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড থাকা যাত্রীরাই মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারছিলেন। ফলে মেট্রোর যাত্রীর সংখ্যা ছিল সীমিত। তবে টোকেন চালু হলে বাড়বে মেট্রো যাত্রী সংখ্যা। এমনটাই আশা করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেইমতোই ৭৫ হাজার টোকেন রেখেছিল মেট্রো। তবে টোকেন চালুর প্রথম দিন অবশ্য আশানুরূপভাবে বাড়ল না মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা। শুক্রবার অবশ্য সেই সংখ্যাটা কিছুটা বেড়েছে। আগামিদিনে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

মেট্রো সূত্রের খবর, টোকন চালুর প্রথম দিন টোকেন কিনে মেট্রো যাতায়াত করেছেন ৩৩ হাজার যাত্রী। তবে টোকেন চালু হলেও স্মার্ট কার্ড বিক্রি হয়েছে ২ হাজারের কাছাকাছি। জানা গিয়েছে, আগে থেকেই মেট্রোর কাছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টোকেন ছিল। আরও ৭৫ হাজার টোকেন সংযোজন করায় টোকেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন সবচেয়ে বেশি টোকেন বিক্রি হয়েছে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোয়। সাধারণত এই রুটের মেট্রোতে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকে। দুপুর ১টা পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বরে প্রায় ৯০০ এবং দমদমে প্রায় ১,৯০০ যাত্রী টোকেন বিক্রি হয়েছে। যা সাধারণ সময়ের থেকে অনেক কম।

তবে মেট্রোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতির আগে মেট্রোয় যে সংখ্যায় যাত্রী হত, বর্তমানে তার অর্ধেক যাত্রী হচ্ছে। যাত্রী কম থাকার ফলে টোকেন বিক্রি হচ্ছে কম। মেট্রোর আধিকারিকরা দাবি করছেন, এখনও অনেকেই টোকেন চালু হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেননি। ফলে তারা পরিবহনের জন্য মেট্রোকে বেছে নিচ্ছেন না। আগামী দিনে এ বিষয়টি সম্পর্কে মানুষ ওয়াকিবহাল হলে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই, টোকেন জীবাণুমুক্ত করার জন্য সমস্ত স্টেশনের বসানো হয়েছে ইলেকট্রনিক আল্ট্রাভায়োলেট লাইট। যার মাধ্যমে অতি সহজেই জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে টোকেনগুলিকে। এই যন্ত্রে মাত্র চার মিনিট রেখে দিলেই করোনা মুক্ত হবে টোকেন। হাত বদলের ফলে করোনা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কথা মাথায় রেখেই এই যন্ত্র কিনেছে মেট্রো।

Source: https://bangla.hindustantimes.com/bengal/kolkata/the-sell-of-metro-token-in-first-day-was-not-good-31637924694504.html