এক এটিসি-র আকাশ পেরিয়ে গেলে পরের এটিসি-র নিয়ন্ত্রণে আসে বিমান। কিন্তু পরবর্তী এটিসি-র আওতায় কোন বিমান কত উচ্চতায় আছে, সেটা বিমানের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এত ক্ষণ সে যে-উচ্চতায় উড়ছিল, এটিসি বদলের পরেও সেই উচ্চতাই বজায় থাকবে, এমন কোনও কথা নেই। আর তা বজায় না-থাকলে বিমানকে উঠে যেতে হয় অন্য উচ্চতায় অথবা নেমে আসতে হয় নীচে। ফলে বেশি জ্বালানি পোড়ে।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, তাদের অধীনে ছিল পশ্চিম, পূর্ব, উত্তর আকাশ। ছিল দক্ষিণের সামুদ্রিক আকাশও। ২০১৫-র পরে ‘আপার এয়ার স্পেস হারমোনাইজ়েশন’ প্রকল্পে কলকাতা থেকে এক-এক করে নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে গুয়াহাটি, রায়পুর ও ভুবনেশ্বরের আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও। সেই সব বিমান ভারতে ঢোকে মূলত বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিক থেকে। ভারতের সীমায় ঢুকলেই তার নিয়ন্ত্রণ নেয় কলকাতা। দিল্লির পথে তাকে তুলে দেওয়া হয় বারাণসীর হাতে। মুম্বইয়ের পথে যাওয়া বিমানের ভার পায় নাগপুর। আবার পশ্চিম থেকে যে-সব বিমান পূর্বে উড়ে আসে, সেগুলির ক্ষেত্রে একই ভাবে বারাণসী ও নাগপুর এটিসি-র থেকে তার নিয়ন্ত্রণ পায় কলকাতা। তারা সেই ভার দেয় বাংলাদেশ বা মায়ানমারের হাতে।
কলকাতা বিমানবন্দরের এক কর্তা জানান, ২৫ অক্টোবর থেকে চলছে পরীক্ষামূলক নিয়ন্ত্রণ। ১ নভেম্বর কলকাতার এটিসি অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বারাণসী থেকে সেখানকার আকাশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ তিন অফিসার কলকাতায় এসে সেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আপাতত সকালে দু’ঘণ্টা আর সন্ধ্যায় দু’ঘণ্টা বারাণসীর আকাশ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কলকাতা থেকে। ওই কর্তা বলেন, ‘‘বাকি সময়ে বিমানের নিয়ন্ত্রণ চলছে বারাণসী থেকেই। প্রশিক্ষণ শেষে বারাণসীর ২৪ ঘণ্টারই নিয়ন্ত্রণ পাবে কলকাতা।” ওই কর্তা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শুধু ২৫ হাজার ফুট বা তার উপরে থাকা বিমানের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। তার নীচে থাকা বিমানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে বারাণসীর এটিসি-র হাতেই।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগপুরের আকাশসীমা কলকাতার হাতে চলে এলেও মুম্বইয়ের পথে নাগপুরের আকাশসীমার ভার এখনও পায়নি তারা। এক কর্তা জানান, সেই দায়িত্ব কলকাতার বদলে যেতে পারে মুম্বইয়ের হাতেও। সে-ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। কলকাতা ছাড়লে সরাসরি বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেবে মুম্বই-ই।
Source: https://www.anandabazar.com/india/varanasi-atc-is-now-merged-with-kolkata-atc-for-more-efficiency/cid/1312566