#কলকাতা: হরিদেবপুর JMB তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য মিলছে তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ধৃতদের যোগ মিলেছিল। এবার খোঁজ মিলল নতুন এক জঙ্গি গোষ্ঠীর। সূত্রের খবর, ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স নামে নতুন এক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে হরিদেবপুর কাণ্ডের ধৃতদের।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স নামে জঙ্গি সংগঠনটির মাথায় রয়েছেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক জিয়া। তাঁর নেতৃত্বেই Jmb-র মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে এই নতুন জঙ্গি সংগঠনটি। আর তাঁদের সঙ্গে যোগ মিলেছে হরিদেবপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া নাজিউর, লালু সেন ওরফে রাহুলদের।
তদন্ত সূত্রে ইতিমধ্যেই খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্র মিলেছে হরিদেবপুরের গ্রেফতারির। সেই কারণেই ২০১৬ সালে NIA-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া খাগড়াগড় কাণ্ডের অভিযুক্ত জেএমবি (Jmb) জঙ্গি ফারুক আহমেদকে হরিদেবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া নাজিউরয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police Stf)। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই দমদম জেলে নাজিউরকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের যে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাজিউর সহ তিনজনকে, সেখানকার cctv ফুটেজে রাহুল ওরফে লালু সেনকে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। এই রাহুল দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে-ঘুরে সেখানে নতুন মডিউল গড়ে তোলার কাজ করত বলে অভিযোগ। লালু সেনের কাছ থেকে ল্যাপটপ, আইফোন সহ বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই সামনে আসে ইসলামিক স্টেট অফ বেঙ্গল প্রভিন্স নামে সংগঠনটির কথা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের থেকেই হদিশ মেলে লালু সেনের। এসটিএফ- এর সন্দেহ, শুধুই অর্থ আর গাড়ি দিয়ে সাহায্য নয়, লালু সেন জঙ্গিদের এদেশে থাকার জন্য আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডও তৈরি করে দিত। রাহুলের বাড়ির কাছে ড্রেনে বেশ কিছু মোাবাইল সিমের সন্ধানও মিলেছে। ঘরে মিলেছে পাখি মারার বন্দুকও।
Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/haridevpur-jmb-case-linked-with-new-terrorist-group-of-bangladesh-sb-628537.html