করোনার দাপটে কলকাতা পুরসভায় পরিষেবা-সমস্যা – এই সময়

কলকাতা নিউজ

এই সময়: করোনার থাবা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে কলকাতা পুরসভাতেও। আর এর ফলেই নাগরিকদের নিত্য পরিষেবা দিতে সমস্যায় পড়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কারণ, কোনও বিভাগের কোনও কর্মী আক্রান্ত হলেই অন্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সেই বিভাগ পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার, রস্টার ডিউটি চালুর ফলে দরকারি কাজ শেষ করতেও দেরি হচ্ছে। এতে ধাক্কা খাচ্ছে পুরসভার আয়, পরিষেবা পেতে হয়রানির মুখে পড়ছেন নাগরিকদের অনেকেই। কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলিতেও এক সমস্যা।

সোমবারই করোনায় এক কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। গত সপ্তাহে একই কারণে লাইসেন্স বিভাগ বন্ধ ছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় অফিস ও বরো অফিসগুলি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গিয়েছেন এক জন। আর এই আতঙ্কেই আবার কর্মীদের অনেকে অফিস আসছেন না বলে পুরসভা সূত্রে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক কাজই যেমন জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট, বিল্ডিং প্ল্যান, লাইসেন্স, পুরকর সংক্রান্ত কাজ অনলাইনে করছে পুরসভা।

কলকাতা পুরসভার এক কর্তা জানাচ্ছেন, বাড়িতে বসেও অনেক কর্মী কাজ করছেন। তা ছাড়া, নাগরিকদের স্বার্থে অগস্ট মাস থেকে ‘বাড়ির দরজায় পুরসভা’ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় বাড়ির সামনেই নাগরিকরা যাবতীয় পরিষেবা পাবেন। পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের দাবি, ‘কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হলেও নাগরিকদের পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে না। কারণ, আমরা অনলাইনে অনেক পরিষেবা দিয়ে থাকি।’

মঙ্গলবারই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের ঘরের সামনে থেকে সমস্ত বসার আসন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের জন্য নিয়মিত সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। রক্সি সিনেমা হলে সেই ব্যবস্থা হবে।

লাগোয়া বিধাননগর পুরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে ইতিমধ্যেই এক জন কর্মী এবং ২ ও ৬ নম্বর বরোর এক জন করে কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাচ্ছে পুরনিগম। কর্মী সংখ্যা কম থাকার ফলে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, বিল্ডিং প্ল্যান, লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে দেরি হচ্ছে বলে নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ। যদিও পুর কমিশনার দেবাশিষ ঘোষ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব কম সংখ্যক মানুষ কাজের জন্য আসছেন। ফলে, লোক কম থাকলেও পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে না।’

কলকাতা লাগোয়া অশোকনগর পুরসভায় ইতিমধ্যে ছ’জন, হাবরা পুরসভায় এক জন অস্থায়ী কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্যমগ্রাম পুরসভায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন। হালিশহর পুরসভার এক জন, নৈহাটি পুরসভার চার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাটপাড়া পুরসভাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ছ’জন। গারুলিয়া পুরসভায় আক্রান্তর সংখ্যা দু’জন। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভায় পুর প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আবার ব্যারাকপুর পুরসভায় আক্রান্তর সংখ্যা চার। অন্য দিকে, পানিহাটি পুরসভার তিন জন, কামারহাটির দু’জন ও উত্তর দমদম পুরসভার ৮ জন কর্মী এই অতিমারীর কবলে পড়েছেন।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করন। https://telegram.me/EisamayNews

Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/kolkata-news-service-problems-in-kolkata-municipal-corporation-due-to-corona/articleshow/77229152.cms