ডড নং কলকাতা – প্রথম আলো

কলকাতা নিউজ

ভাইয়া ঠোঁট উলটে বলল, ‘নতুন কিছু এনেছ ঝুলি ভর্তি করে, নাকি পুরোনো গল্প আওড়াবে? ঈদ কেন প্রতিবছর ১১ দিন করে এগিয়ে আসে, পদ্মা সেতুর বিশেষত্ব কী, স্যাকারিন কী জিনিস—এসব তো বহুবার বলেছ। আমাদের মুখস্থ হয়ে গেছে।’

বাবা হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমার জ্ঞানের বহর তোরা গুনে শেষ করতে পারবি না। আচ্ছা বল তো, বেনীআসহকলা কী?’

আমি বললাম, ‘পুরোনো কথা। রংধনুর সাত রং।’

‘বেশ। এবার বল, লাই ইউ টেন অ্যান্ট মানে কী?’

আমরা চুপ হয়ে গেলাম। বিজয়ের হাসি হেসে বাবা বললেন, ‘মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া।কাগজ-কলম দে।’

বাবা লিখলেন, Lie-u-ten-ant। তারপর হাইফেনগুলো কেটে দিয়ে বললেন, ‘লাই ইউ টেন অ্যান্ট মানে লেফটেন্যান্ট। বিদঘুটে বানান মনে রাখার সহজ উপায়।’

আপু বলল, ‘দারুণ ব্যাপার! আমার বাবা সত্যিই জিনিয়াস।’

বাবা বললেন, ‘জিনিয়াস না ছাই। আমাদের ছোটবেলায় আমরা এসব নিয়ে খেলতাম। তোরা তো থাকিস সারা দিন মোবাইল নিয়ে।’

আপু ঠোঁট ওলটাল।

বাবা বললেন, ‘পিসি চলো যাই মানে কী বল তো?’

ভাইয়া বলল, ‘মানে আবার কী, পিসিকে সঙ্গে যেতে বলছে।’

বাবা আবার হাসলেন। তারপর লিখলেন, Psychology।

আমি বললাম, ‘এটা সাইকোলজি।’

বাবা বললেন, ‘বানানটা কঠিন। মনে রাখার সহজ উপায় হচ্ছে পিসি চলো যাই।’

এবার আমি চোখ কপালে তুলে ছাদের দিকে তাকালাম। ফ্যান ঘুরছে। আপু হাততালি দিয়ে উঠল।

বাবা বলতে লাগলেন, ‘if যদি is হয়, but কিন্তু what কী, under নিচে has আছে, চাবি ইংরেজি key?’

এটা বুঝতে আমাদের ঠিক দুই মিনিট লাগল। মুগ্ধতা কাটিয়ে ওঠার আগেই বাবা বললেন, ‘ঢিশুম ঢিশুম কী সিনেমা দেখছিলি? তোদের কত বলেছি পথের পাঁচালী দেখতে। তা দেখবি কেন? সারা দিন মোবাইল নিয়ে…।’

Source: https://www.prothomalo.com/fun/fr7rikx739