জানা গিয়েছে, এদিন পৌনে ৮টা নাগাদ ব্যাংকক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। রাত ৯টা ১০ মিনিটে ইন্ডিগোর বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। সেজন্য কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে নিজের পাসপোর্ট এবং উড়ানের টিকিট জমা দেন তিনি। তখনই তাঁকে (Menoka Gambhir) কাউন্টারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই উড়ানে বোর্ডিং হতে পারবেন না তিনি। ED-র তরফে একটি মামলায় তাঁর নামে তদন্ত চলছে। এরপর তাঁকে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় এবং কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের তরফে দিল্লিতে ED-র সদর দফতরে মেনকা গম্ভীরের খোঁজ দিয়ে ইমেল পাঠানো হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার মামলার তদন্তে মেনকা গম্ভীরের (Menoka Gambhir) নামে ‘লুক আউট’নোটিশ জারি রেখেছিল ED। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই নোটিশ। তাই এদিন মেনকা গম্ভীর ব্যাংকক যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরে পাসপোর্ট জমা করতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। তারপর বিমানবন্দরেই অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে মেনকা গম্ভীরকে আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। অন্যদিকে, অভিবাসন দফতরের তরফে ইমেল করে দিল্লির সদর দফতরে খবর দেওয়া হয়। তারপর ED-র দিল্লির অফিস থেকে ইমেল মারফৎ কলকাতার অফিসে নোটিশ পাঠানো হয়।
দিল্লি অফিসের তরফে ইমেল পাওয়ার পরই কলকাতা থেকে এক ED অফিসার বিমানবন্দরে যান এবং মেনকা গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ED-র তরফে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না মেনকা গম্ভীর। আগামী সপ্তাহে তাঁকে ED অফিসে হাজিরা দেওয়ার নোটিশও ধরানো হয়েছে। ফলে বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসতে হয় অভিষেকের শ্যালিকাকে (Menoka Gambhir)।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisherk Banerjee) পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rujira Banerjee) ED-র মুখোমুখি হয়েছেন। বেশ কয়েকবার তাঁদের দিল্লিতে তলব করে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দরা। এবার গোয়েন্দাদের নজরে রুজিরার বোন।
Source: https://eisamay.com/west-bengal-news/kolkata-news/abhishek-banerjee-sister-in-law-menoka-gambhir-stopped-at-kolkata-airport-by-ed/articleshow/94123445.cms