কলকাতা: বিদ্যুতের তার কী করে রাস্তায় পড়ে থাকে, সেই প্রশ্ন তুলল রাজভবনের সামনে জলমগ্ন রাস্তায় মৃত তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজভবনের সামনে জলমগ্ন রাস্তায় মৃত্যু হয় তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণের।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ঋষভ মণ্ডল। ২৫ বছরের এই যুবক মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার এনটিপিসি-এর নবারুণের বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে খবর, পেশায় ইঞ্জিনিয়র এই যুবক কলকাতার হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে এবং বিকেলে অফিস থেকে বেরনোর পরও বাড়িতে ফোন করেছিলেন ঋষভ। তারপরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।
চিরদিনের মতো বাবা-মা-কে ছেড়ে চলে গেল একমাত্র ছেলে। টেলিভিশনে সেই খবর দেখা মাত্রই, কান্নায় ভেঙে পড়ে ফরাক্কার এনটিপিসি আবাসনের মণ্ডল পরিবার।
মঙ্গলবার বিকেলের টানা বৃষ্টিতে, রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে হাঁটু সমান জল জমে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ জমা জলের মধ্যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক।
হঠাৎই একটি লাইটপোস্টের পাশে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি। তারপরই সব শেষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লাইটপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজভবনের নর্থগেট থেকে মেরেকেটে ২০ মিটার। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট এই অবস্থায় পড়ে থাকে মৃতদেহ। সোয়া সাতটা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলকাতার মতো জায়গায় কী করে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
খবর পাওয়া মাত্রই সিইএসসি-র কর্মীরা এসে লাইটপোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন। যদিও, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের অভিযোগ মানতে নারাজ সিইএসসি। সেখানে কোনও খোলা তার ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা।
মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে এফআইআর-এর নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ হাকিম।
যে বাড়ির তরতাজা ছেলে বেঘোরে মারা গেল, চরম ক্ষতি তো তাদের হল। সকালে কি কেউ ভেবেছিল, এটাই শেষ কথা বলা। পথে এভাবে ওঁত পেতে রয়েছে মৃত্যু।
Source: https://bengali.abplive.com/news/kolkata/family-seeks-probe-after-young-engineer-dies-of-alleged-electrocution-at-waterlogged-street-in-kolkata-814204