২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৫৮, চিন্তার কেন্দ্রে কলকাতা – এই সময়

কলকাতা নিউজ

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৫৮, চিন্তার কেন্দ্রে কলকাতা

Bএই সময়:B রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত করোনায়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। আক্রান্তদের শতকরা ৮০ ভাগই কলকাতার বাসিন্দা বলে শুক্রবার নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানান, ‘এই আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জনই বিভিন্ন আক্রান্তর পরিবারের সদস্য।’ তবে এদিন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন ২৪ জন আক্রান্ত। ফলে রাজ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৩৩৪ জন।

করোনার টেস্ট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে রাজ্যে আরও বেশি করে করোনা আক্রান্তের হদিস মিলবে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯৬৩ জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার পর ৫৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাই আশ্চর্য নন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে, রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোন নিয়ে কিছুটা স্বস্তির কথাই এদিন শুনিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা এলাকার ১৫০টিরও বেশি কনটেইনমেন্ট জোনের ৫টিতে গত ১৪ দিনে কোনও নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। হাওড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালেও গত ১২ তারিখ থেকে সেখানকার প্রায় ৭০টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে ১০টিতে কোনও নতুন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলেনি। ছবিটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার মতো রেড জোনে থাকা জেলাতেও। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার ৪১টি কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে ১০টিতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে নতুন সংক্রমণ নেই। একই রকম ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি কনটেইনমেন্ট জোনের চারটিতেও ৮ এপ্রিল থেকে কেউ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হননি।

রেড জোনের অন্যান্য জেলার ফল আশানুরূপ হলেও করোনা সংক্রমণে কলকাতাই যে এখনও চিন্তায় রাখছে রাজ্যকে, সে কথা জানাতেও এদিন ভোলেননি মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘কলকাতা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।’ তবে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ‘সন্ধানে’ অ্যাপকে ব্যবহার করে নজরদারি করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জ্বর, প্রবল শ্বাসকষ্ট (সারি) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ (ইলি) নিয়ে থাকা রোগীদের চিহ্নিত করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সাধারণ মানুষও নিজেদের জ্বর এবং সারি ও ইলির উপসর্গের কথা জানাচ্ছেন সন্ধানে অ্যাপের মাধ্যমে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে জিআইএস প্ল্যাটফর্মের মারফত বেশি আক্রান্ত এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘কোনও জ্বর, সারি বা ইলি উপসর্গ থাকা ব্যক্তির সন্ধান পেলেই ম্যাপে একটা লাল ডট উঠে আসে। একই এলাকায় বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মিললেই তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। জানান, করোনা-যুদ্ধে জিততে হলে রাজ্যের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুস্থ থাকাটা সবচেয়ে জরুরি। তাঁর কথায়, ‘ওঁরা যে কাজটা করছেন তা শুধু প্রশংসনীয়ই নয়, প্রণম্য। ওঁরা এত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, ওঁদের সুস্থ রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা চাই না, সুরক্ষার অভাবে ওঁরা কেউ অসুস্থ হোন। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে।’

Source: https://eisamay.indiatimes.com/lifestyle/health-fitness/56-in-the-state-in-24-hours-kolkata-in-the-center-of-thought/articleshow/75332500.cms