তৃণমূলে দাদাগিরি, গা জোয়ারি করা চলবে না। কারও অপকর্মের জন্য দলের নাম খারাপ হলে দল বহিষ্কার করবে। সে যত বড় নেতার ছত্রছায়ায় থাকুক। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ১৩৫ আসন পাবই আমরা। বিজেপি সিপিএম ঘোঁট পাকালে প্রতিবাদ করতে হবে। সারা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটের শেষ লগ্নে বালীগঞ্জ থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিলে এভাবেই কর্মীদের আগাম সতর্ক করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রাত পোহালেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। ঘুরে ফিরে একটা প্রশ্নই উঠছে তবে কি এবার সেই সন্ত্রাসের ছবিই দেখতে হবে বাংলাকে? রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসের ছবি দলের ভাবমূর্তিকে খারাপ করতে পারে। সেকারণে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না দল। সেকারণেই সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বার বার দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন অভিষেক। তবে শেষ পর্যন্ত কর্মীরা কতটা তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন তার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের বাম্পার জয়ের জেরে পুরভোটের আগে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল শিবির। আর ঠিক তার বিপরীতে বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি পুরভোটের আগে কিছুটা মনমরা রেখেছে গেরুয়া শিবিরকে। কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট করানোর মতো মেশিনারি আদৌ বিজেপি নামাতে পারবে কি না তানিয়েও জোরালো সংশয় দানা বেঁধেছে। এমনকী গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির একাধিক নেতার শরীরী ভাষাতেও সেই সাংগঠনিক দুর্বলতার কথাই ধরা পড়েছে বার বার। তবে এতসবের মধ্যে বাম ও কংগ্রেসকে বৃত্তের বাইরেই রাখছেন অনেকে।
এদিকে রবিবার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোট। বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১২৬টি ওয়ার্ড। ঘাসফুল শিবির অন্তত ১৩৫টি আসনে জিততে চাইছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালে ৫টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেই আসন বিজেপি ধরে রাখতে পারবে নাকি তাতেও ধস নামবে তা নিয়েও নানা চর্চা চলছে। তবে বিজেপির দাবি সন্ত্রাস না হলে ফল ঘুরে যাবে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, একটি অশান্তির ঘটনা হলেও আমরা আদালতে যাব।
Source: https://bangla.hindustantimes.com/bengal/kolkata/whether-terror-or-not-that-is-the-question-on-kolkata-municipal-election-31639841318673.html