১৮৪০ সালে প্রথম কলকাতায় শুরু হয় মাউন্টেড পুলিশ বা ঘোড়সওয়ার পুলিশ বাহিনী। কলকাতা পুলিশের অন্যতম অংশ হিসেবে এই পুলিশ বাহিনী আজও দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার টহল দেয় ময়দান চত্বরে। আর এই টহলদারির সময় যেখানে সেখানে ঘোড়ার মল-মূত্র ত্যাগের ফলে পরিবেশ দূষণের কথা বারবার উঠে এসেছে। এবার সেই সমস্যার সমাধানে ঘোড়াগুলোকে টহলদারির সময় ডায়াপার পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
পরিবেশ দূষণ রোধে কলকাতা পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। নিউ মার্কেটের মাউন্টেড পুলিশের আস্তাবলে এখন ৬৯টি ঘোড়ার দেখভাল করা হয়। সব ঘোড়াকেই নতুন এই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ানোর কাজ চলছে। রোজ তাদের ডায়াপার পরানোর ট্রেনিং চলছে বলে লালবাজার তরফে জানানো হয়েছে।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা ময়দানের মতো জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকদের ভিড় হয়। এই চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘোড়ার মল-মূত্র থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যা পর্যটকদের মধ্যে অস্বস্তির তৈরি করে। নতুন নিয়মে সেই অস্বস্তির দূর হবে অনেকাংশে।
পূর্বে টহলদারি এই ঘোড়াগুলোর সঙ্গে একজন উইনিফর্মধারী পুলিশ মোতায়েন থাকত। যাঁরা একটি ঝুড়ি ও ঝাড়ু সঙ্গে করে টহল দিতেন ঘোড়াগুলোর সঙ্গে। ঘোড়ার মল-মূত্র পরিস্কার করতে করতে যেতেন। তবে বেশ কয়েকবছর সেই ধারা দেখা যায় না।
নতুন প্রটোকল অনুযায়ী, ডিউটির জন্য বের হওয়া প্রতিটি ঘোড়াকে ডায়াপার পরানো হবে। ডায়াপার বারবার ব্যবহার করার জন্য ধোয়া হবে। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, সব ঘোড়া এই নতুন নিয়মের সঙ্গে এখনও মানিয়ে নিতে পারছে না। নিজেদের মতো প্রতিবাদও জানাচ্ছে।
লালবাজারের এক অফিসারের কথায়, “আমাদের কাছে রবিন হুড, সামারহিল এবং কেডেনের মতো কিছু সত্যিকারের আজ্ঞাবহ ঘোড়া রয়েছে, যারা সানন্দে এই পরিবর্তনটি গ্রহণ করেছে। কিন্তু নাদিয়া, মার্গারিটা এবং প্রিয়দর্শিনীর মতো কিছু ঘোড়া আছে, যারা ডায়াপার বাঁধার কোনো চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের সামনের পা তুলে লাথি মারতে শুরু করে।” তবে খুব শীঘ্রই এই নতুন নিয়মের সঙ্গে সব ঘোড়াকে অভ্যস্ত করে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
Source: https://www.voabangla.com/a/horse-envn-wall/6292815.html