হাইলাইটস
- বিকেলে কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সারা কলকাতা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দু-তিনশ গাছ পড়বে ভেবেছিলাম কিন্তু পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ পড়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হাসপাতাল-শ্মশান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যাবার রাস্তা গুলো পরিষ্কার করা।’
- ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে অনেক জায়গায় জল ঢুকে গেছে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে এমনিতেই ঘরবন্দি হয়ে ছিল শহরটা। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জোরাল হতেই প্রত্যেককে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও আটকাল গেল না মৃত্যুর সংখ্যা। উম্পুনের দাপটে শুধু কলকাতাতেই মৃত্যু হল ১৫ জন শহরবাসীর। সেইসঙ্গে শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রইল ধ্বংসের চিহ্ন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের তাণ্ডবে রাজ্যে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় ১৫ জনের মৃত্যু। হাওড়ায় ৭, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৭, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬, চন্দননগরে ২, বারুইপুরে ৬, ডায়মন্ড হারবারে ৮। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রানাঘাটে ৬, সুন্দরবনে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর বিকেলে কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সারা কলকাতা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দু-তিনশ গাছ পড়বে ভেবেছিলাম কিন্তু পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ পড়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হাসপাতাল-শ্মশান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যাবার রাস্তা গুলো পরিষ্কার করা। প্রথমে মূল রাস্তাগুলো কেটে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে ছোট রাস্তা-ভেতরের রাস্তা এবং বাড়ির ওপরে থাকা কাজগুলো সরানোর কাজ শুরু হবে। এটা দু-একদিনের কাজ নয় কিছুটা সময় লাগবে।’
বুধবার থেকে প্রায় ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। কোথাও কোথাও সিএসসির ওয়াটার লগিং এলাকায় নজর রাখতে বলা হয়েছে। ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনে অনেক জায়গায় জল ঢুকে গেছে।
ফিরহাদের কথায়, ‘আমার জীবন কালে তো বটেই আমার বাবার জীবন কালে বা কলকাতার ইতিহাসে এরকম তাণ্ডব কোনদিন হয়নি।
উম্পুন পশ্চিমবঙ্গটাকে শেষ করে দিয়েছে। মানুষের কাছে আবেদন, ভরসা রাখুন। আমাদের পুরসভার কর্মীরা দিন-রাত কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীও তদারকি করছেন।’
Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/kolkata-incurred-huge-loss-due-to-cyclone-amphan/articleshow/75870748.cms