ঔপনিবেশিক শহর কলকাতায় চারদিন – নয়া দিগন্ত

কলকাতা নিউজ

বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে মাত্র ৯২ কিলোমিটার দূরে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতা। বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের প্রথম পছন্দের শহরও হলো এই কলকাতা। চিকিৎসা, কেনাকাটার জন্যও বাংলাদেশের মানুষের কাছে কলকাতা প্রিয় জায়গা। কলকাতার ইতিহাস ঔপনেবিশক চাদরে মোড়ানো ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে। বর্তমান কলকাতা সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়, কলকাতা হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা ভারতের প্রধান নদীবন্দর।

কলকাতা শহরের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৭ শ’ শতাব্দীর শেষভাগে সুতানুটি, ডিহি কলিকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ডিহি কলিকাতা নামটি থেকে কলকাতা বা কোলকাতা নামটির উৎপত্তি। ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক জব চার্নককে এই শহরের প্রতিষ্ঠাতার মর্যাদা দিয়েছিলেন। ১৬৯০ সালের ২৪ আগস্ট ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলা সদর কার্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে জব চার্নক নামে এক ইংরেজ বণিক সুতানুটিতে উপস্থিত হন। কলিকাতা গ্রামে স্থানীয় লোকদের বসতি না থাকায়, এই গ্রামটি ইংরেজরা সহজেই দখল করে নিতে পারে। ১৬৯৬ সালে কোনোরূপ আইনি অধিকার ব্যতিরেকেই বর্তমান জিপিও অঞ্চলে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৬৯৮ সালের ১০ নভেম্বর জব চার্নকের জামাতা ও উত্তরাধিকারী চার্লস আয়ার এই অঞ্চলের পূর্বতন জমিদার সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের কাছ থেকে কলকাতা ও তৎসংলগ্ন তিনটি গ্রামের জমিদারি ক্রয় করলে এই অঞ্চলের ওপর কোম্পানির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিন থেকেই কলকাতায় ব্রিটিশ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। উল্লেখ্য, আওরঙ্গ জেবের অধীনে মুঘল সাম্রাজ্য তখনো শক্তিশালী ছিল।

১৭ শ’ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলোর শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে কলকাতায় দুর্গ নির্মাণে বিরক্ত হয়ে নবাব সিরাজউদদৌল্লাহ কলকাতা আক্রমণ করেন। কলকাতা অধিকারের পর সিরাজ এই শহরের নাম পরিবর্তন করে তার নানা আলিবর্দী খানের নামানুসারে ‘আলিনগর’ রাখেন। ১৭৫৮ সালে ইংরেজরা কলকাতা পুনরুদ্ধার করলে পূর্বতন নামটিই আবার বহাল হয়। কলকাতা পুনর্দখলের পর ব্রিটিশরা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ পুনরায় নির্মাণ করেন।
কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলোর রাজধানী। ১৯ শ’ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলোতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।

১৯ শ’ শতাব্দী ও ২০ শ’ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বাংলার নবজাগরণের কেন্দ্রস্থল ছিল কলকাতা। এই শহর বাংলা তথা ভারতের ধর্মীয় ও জাতিগত বৈচিত্র্যপূর্ণ এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে। সাহিত্য, থিয়েটার, শিল্পকলা ও চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই শহর এক স্বতন্ত্র ঐতিহ্য বহন করে আসছে। এখানে উল্লেখ্য, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কলকাতা শহর দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শহরের দক্ষিণে যে অংশে ব্রিটিশরা বাস করতেন সেটিকে বলা হতো হোয়াইট টাউন এবং উত্তরে যে অংশে ভারতীয়রা বাস করত সেটিকে বলা হতো ব্লাক টাউন। ১৮৫০-এর দশক থেকে কলকাতা শহর বস্ত্রবয়ন ও পাটশিল্পে বিশেষ সমৃদ্ধি অর্জন করতে শুরু করে। এর ফলে ব্রিটিশ সরকার এখানে রেলপথ ও টেলিগ্রাফ প্রকল্পের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্রিটিশ ও ভারতীয় সংস্কৃতির মিশ্রণে শহুরে বাঙালিদের মধ্যে এক নব্য বাবু শ্রেণীর উদ্ভব ঘটেছিল। এই বাবুরা ছিলেন সাধারণত উচ্চবর্ণীয় হিন্দু, ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও সংবাদপত্রের পাঠক। পেশাগতভাবে এরা ছিলেন জমিদার, সরকারি কর্মচারী বা শিক্ষক। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণ নামে পরিচিত যে যুগান্তকারী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাঙালি সমাজের চিন্তাধারা ও রুচির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল তার পটভ‚মিও ছিল এই কলকাতা শহর। বাংলার নবজাগরণ শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতের পথপ্রদর্শক হয়েছিল। এই আন্দোলনের পুরোধাপুরুষরা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, রামতনু লাহিড়ী, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংস, কেশবচন্দ্র সেন, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ ব্যক্তিরা।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সির হিন্দুপ্রধান পশ্চিমাঞ্চল পশ্চিমবঙ্গ নামে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়। কলকাতা এই রাজ্যের রাজধানীর মর্যাদা পায়। পশ্চিমবঙ্গের এই রাজধানী শহরে ছিলাম চারদিন। ঘুরে ঘুরে ইতিহাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার মেয়ে ও স্ত্রী এবং তাদের সাথে আমারও আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ভারতের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মান্না দে যে কফি হাউজকে কেন্দ্র করে বিখ্যাত গান গেয়েছিলেন ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…’ কলেজ স্ট্রিটের সেই কফি হাউজে গিয়ে কফি পান করা। রাত ৯টায় কফি হাউজে ঢুকেই দেখতে পেলাম জমজমাট আড্ডা চলছে যুবক-যুবতী, কবি-সাহিত্যিকদের। সেখানে বসেই কফি পান করলাম। কফি পান শেষে কফি হাউজের ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত সংস্কৃতি কলেজে গেলাম। কলেজটি ১৮২৪ সালে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে কলকাতা সংস্কৃত কলেজকে হিন্দু শিক্ষা দেয়ার জন্য একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো সুদক্ষ পণ্ডিত এই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর গেলাম বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি কলকাতায় হিন্দু কলেজ নামে স্থাপিত হয় এই কলেজটি। ভদ্র হিন্দু ঘরের সন্তানদের ইংরেজি ও ভারতীয় ভাষাসমূহ, তৎসহ ইউরোপ ও এশিয়ার সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদান ছিল এই কলেজ স্থাপনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।

বাংলার সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনে কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ১৮৫৫ সালের ১৫ জুন এই কলেজটির নাম পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্সি কলেজ নামকরণ করা হয়। এটি এখন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। অনেক পণ্ডিত ও জ্ঞানী, গুণী ও প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একটু দক্ষিণে গেলেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। সেখানে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। গেলাম সেখানেও। তখন রাত প্রায় সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। এত রাতে প্রথমে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিতে না চাইলেও একটু অনুরোধ করার পর ভেতরে যেতে দিলো। ১৮৫৭ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার প্রাচীনতম বহুমুখী ও ইউরোপীয় ধাঁচের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার প্রথম তথা অন্যতম প্রধান সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটিকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্য গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়।

কলকাতার মেট্রোরেলের কথা কে না জানে! মেট্রোতে না চড়লে কলকাতা ভ্রমণের অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই পরের দিন আমরাও মেট্রোরেলে চড়ে নিজেদের কৌত‚হলকে নিবারণ করলাম। ১৯৮৪ সালে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও হাওড়া জেলার অংশবিশেষে পরিষেবা প্রদানকারী দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা। মেট্রোর স্বাদ উপভোগ করতে করতেই চলে গেলাম দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ এক অসাধারণ সৌন্দর্যময় শ্বেতপাথরের কারুকার্যে মোড়ানো রানী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ সালে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ সালে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল-ধারিণী বিজয়দুতির একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বে অঙ্গনে পরিচিত। ১৯০৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং দীর্ঘ ১৫ বছর পর ১৯২১ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন রানীর স্মৃতি রক্ষার্থে স্মারক প্রাসাদ ও উদ্যানের- ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল’ নির্মাণ পরিকল্পনা করেন। রানী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ঘুরতে ঘুরতে নেতাজী সুভাস বসুর ইতিহাসও আত্মস্থ হয়ে যায়, কারণ হলের পরতে পরতে তার সংগ্রামী ইতিহাসের অনেক কিছুই সেখানে সাঁটানো আছে।

কলকাতা ভ্রমণের একটি অংশে ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম’ মাথায় রাখতেই হবে। এই জাদুঘরটি ভারতের বৃহত্তম জাদুঘর। ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে। এই জাদুঘরটি একটি সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান জাদুঘর। এর ছয়টি বিভাগ রয়েছে- শিল্পকলা, পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্বও অর্থনৈতিক উদ্ভিজ্জ। ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলে এই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন জাদুঘর। জাদুঘরের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে একটি মিসরীয় মমি, ভারহুতের বৌদ্ধ স্তুপ, অশোক স্তম্ভ, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের ফসিল, শিল্প সংগ্রহ, দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন সামগ্রী ও ভূতাত্ত্বিক প্রস্তর সংগ্রহ।

হাওড়া ব্রিজ যার বর্তমান নাম রবীন্দ্র সেতু। হুগলি নদীর উপর অবস্থিত হাওড়া ব্রিজটি উনিশ শতকের সেতু প্রকৌশল ও প্রযুক্তির অন্যতম নিদর্শন। ১৮৭১ সালে বাংলা সরকারের আইন বিভাগ হাওড়া ব্রিজ আইন পাস করে (১৮৭১ সালের ৯ নং আইন)। ১৮৭৪ সালে এর কাজ সমাপ্ত হয়। রাতের আঁধারে ব্রিজটির লাল-নীল আলোর এক অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। ব্রিজটির পশ্চিম পাশে হওড়া আর পূর্বপাশে কলকাতা। এটি কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুগুলোর মধ্যে অন্যতম। সকালে হাওড়া থেকে হাজার হাজার লোক ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে কলকাতা শহরে ঢুকে। মনে হয় হাজার হাজার লোকের মিছিল ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।

গোটা ভারতবর্ষে মোগল আর ঔপনিবেশিক ইতিহাসের চিহ্ন। কোথাও মোগল ইতহাসের সাক্ষী আবার কোথাও ঔপনিবেশিক ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে বহু কারুকার্যময় দালানকোঠা, স্মৃতিস্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে। লাখ লাখ লোক ভ্রমণ করে সেই দালানকোঠা আর স্মৃতিস্তম্ভের ইতিহাসে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কেউ আবার প্রেয়সীর ভালোবাসার অন্তর্গহিনে নিজেকে হারিয়ে প্রেমময় রূপরস খুঁজে পায় সম্র্রাট শাহজাহান-মমতাজের অমর প্রেমের নিদর্শন তাজমহলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে। মাত্র চারদিনে কলকাতার কিয়দংশ ভ্রমণ শেষ হইয়াও হইল না শেষ।

[email protected]

Source: https://news.google.com/__i/rss/rd/articles/CBMimgJodHRwczovL3d3dy5kYWlseW5heWFkaWdhbnRhLmNvbS9zdWItZWRpdG9yaWFsLzcyNDcxMC8lRTAlQTYlOTQlRTAlQTYlQUElRTAlQTYlQTglRTAlQTYlQkYlRTAlQTYlQUMlRTAlQTclODclRTAlQTYlQjYlRTAlQTYlQkYlRTAlQTYlOTUtJUUwJUE2JUI2JUUwJUE2JUI5JUUwJUE2JUIwLSVFMCVBNiU5NSVFMCVBNiVCMiVFMCVBNiU5NSVFMCVBNiVCRSVFMCVBNiVBNCVFMCVBNiVCRSVFMCVBNyU5Ri0lRTAlQTYlOUElRTAlQTYlQkUlRTAlQTYlQjAlRTAlQTYlQTYlRTAlQTYlQkYlRTAlQTYlQTjSAQA?oc=5