Recruitment Scam: ‘নিশ্চয়ই ভালবেসে দেওয়া হয়নি অযোগ্যদের চাকরি!’ কল্যাণময়ের জামিন মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের – TV9 Bangla

কলকাতা নিউজ

Recruitment Scam: “১১৩ দিন জেলে আছেন কল্যাণময়। চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে। অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জামিন দেওয়া হোক।”

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই কেবল ভালবাসার কারণে দেওয়া হয়নি…”, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর। নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-কে আর্থিক লেনদেন খুঁজে বার করার পরামর্শ দিলেন বিচারপতি। বুধবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছিল। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের জন্য সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী শেখর বসু। তিনি বলেন, “১১৩ দিন জেলে আছেন কল্যাণময়। চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে। অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জামিন দেওয়া হোক।”

সিবিআইয়ের তরফে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। সিবিআই-এর পক্ষে আইনজীবী অরুণ মাইতি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। অনুসন্ধানের সময় বেনিয়ম পেয়েছি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

সিবিআই-এর তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়োগপত্র দেওয়া হত। বিষয়টি শোনার পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মন্তব্য করেন,”আমরা এই দুর্নীতির কার্যপ্রণালী এবং এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চাই। কোন আর্থিক লেনদেন হয়েছে ? কত জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে?” তাঁর আরও মন্তব্য, “চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবাসার কারণে দেওয়া হয়নি ? টাকার লেনদেন আছে কিনা খুঁজে দেখুন।” পাশাপাশি বিচারপতির প্রশ্ন, কতদিন জেলবন্দি করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত দ্রুত চালানোর পরামর্শ দেন তিনি।

সিবিআইয়ের বক্তব্য, “আমরা আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছি।” সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মামলার মুলতুবি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, সিবিআই জানিয়েছে, অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বানিয়ে দিতেন তিনিই। সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই হয়েছে যাবতীয় অবৈধ নিয়োগ। তার আগেই এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

Source: https://news.google.com/__i/rss/rd/articles/CBMikwFodHRwczovL3R2OWJhbmdsYS5jb20va29sa2F0YS9yZWNydWl0bWVudC1zY2FtLWNhbGN1dHRhLWhpZ2gtY291cnQtYWRqb3VybmVkLXRoZS1iYWlsLWNhc2Utb2Yta2FseWFubW95LWdhbmdvcGFkaHlheS10aWxsLXRodXJzZGF5LWF1MjItNzIwMTY3Lmh0bWzSAQA?oc=5