দাপট বাড়ছে ডেঙ্গির, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI উৎপল নস্করের – News18 বাংলা

কলকাতা নিউজ

#কলকাতা: কলকাতায় ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গি! আজ, শনিবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI উৎপল নস্করের।
আজ ভোরে CMRI হাসপাতালে মৃত্যু হয় উৎপল নস্করের। ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন তিনি।

২৭ অক্টোবর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় উৎপল নস্করকে। তিনি কলকাতা পুলিশের ডিডি, এমটি পোল সেকশনে ছিলেন, ওয়েলফেয়ার বোর্ডে কাজ করতেন। বোর্ডের কনভেনার বললেন, ” এখনও পর্যন্ত ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ১০ জন কর্মী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন।”

গতকাল, বৃহস্পতিবার ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু হয় কলকাতায়। বেলেঘাটা আইডি-তে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জগদ্দলের বাসিন্দা, বছর ৬৫-র দীনবন্ধু ঘোষের। অন্যদিকে, হাবরা হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় মসলন্দপুর ঘোষপুরের বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডলের। তার ২ দিন আগে ভবানীপুর এলাকায় সন্তান প্রসবের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় এক ডেঙ্গি আক্রান্ত তরুণীর। মৃতের নাম গুড়িয়া কুমারী রজক। কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গুড়িয়া কুমারী। গর্ভবতী হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

আরও পড়ুন: বাড়ছে রোগের দাপট, বেলেঘাটা আইডি ও হাবরা হাসপাতালে ২ ডেঙ্গি-আক্রান্তের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথমের দিকে রাজ্যের মানুষ প্রধানত আক্রান্ত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ২’ ভাইরাসে। চিকিৎসকেরা অনুমান করেছিলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি কম ভুগবেন এবং মৃত্যুও কম হবে। কারণ, ৪  ধরনের ডেঙ্গির মধ্যে একটির প্রাধান্য থাকলে, একবার সেটি হয়ে গেলে অন্যটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশ কমই। দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হলে, ‘ডেঙ্গি ২’-তেই সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকবে এবং প্রথমবারের অ্যান্টিবডি দ্বিতীয়বারের বিপদ থেকে বাঁচাবে।

আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে আজ বিকেলে জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মুখ্যসচিব, বাড়ছে জল্পনা

কিন্তু বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঘুরতে শুরু করল এই পরিস্থিতি।রাজ্যের ‘স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-সহ অন্যান্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় ‘ডেঙ্গি ৩’-এর দাপট চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেরোটাইপিং পরীক্ষায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ডেঙ্গি রোগীদের মধ্যে ‘ডেঙ্গি ৩’- এ আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল ৬০ শতাংশ। ‘ডেঙ্গি ২’-এ  আক্রান্ত ছিল ২৫ শতাংশ। খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হচ্ছিলেন ‘ডেঙ্গি ১’ এবং ‘ডেঙ্গি ৪’- এ। মাত্র এক মাসে পরিস্থিতি ঘুরে গিয়েছে। ‘ডেঙ্গি  ৩’-এ সংক্রামিত হওয়ার হার কমে হয়েছে কমবেশি ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ‘ডেঙ্গি ২’-এ আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।

Published by:Rukmini Mazumder

First published:

Tags: Dengue, DENGUE IN KOLKATA

Source: https://news.google.com/__i/rss/rd/articles/CBMiWGh0dHBzOi8vYmVuZ2FsaS5uZXdzMTguY29tL25ld3Mva29sa2F0YS9rb2xrYXRhLXBvbGljZS1hc2ktZGllZC1pbi1kZW5ndWUtcm0tOTE2NjA3Lmh0bWzSAQA?oc=5