ED: অভিষেকের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি ইডির, দিল্লিতে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর – Calcutta News

কলকাতা নিউজ

ED: অভিষেকের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি ইডির, দিল্লিতে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর

Post By : সিএন ওয়েবডেস্ক

Posted on :2022-04-29 20:26:11

image

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় তিনজন ইডি কর্তার (ED) গলার স্বর রেকর্ড করার নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তিনজন ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) করা মামলায় ওই তিন অফিসারকে  কন্ঠের বা ভয়েস স্যাম্পেল আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (kolkata high Court) মামলা দায়ের করেন ওই তিন ইডি কর্তা। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর আগামী তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তিতে ইডি। কালিঘাট থানার ইডি কর্তাদের তলবে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ রয়েছে, ফাঁস হওয়া এমন এক ভয়েস রেকর্ডিংকে চ্যালেঞ্জ করে কালীঘাট থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল সাংসদ।

পরে আলিপুর কোর্টে ইডি কর্তাদের কণ্ঠস্বর রেকর্ডের আবেদন করে কালীঘাট থানা। নিম্ন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ইডি অফিসারদের আসতে হবে কলকাতায় এবং করা হবে ভয়েস স্যাম্পেলিং। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে  আবেদন করে কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। মামলা ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে। সেই মামলাতেই তিন সপ্তাহের জন্য স্বস্তিতে ইডি কর্তারা।

হাইকোর্টের গরমের ছুটি শেষ হওয়ার ৩ সপ্তাহ পর পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।  এদিন শুনানিতে ইডি কর্তাদের আইনজীবী বলেন, ‘২০০০ কোটি টাকার তদন্তকে বাধা দিতে তলব করা হচ্ছে ইডি কর্তাদের। বারবার তদন্তে বাঁধা দেওয়ার জন্য ফাঁসানো হচ্ছে।’

এদিকে হাইকোর্টে যখন স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এই মামলায় কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ আনল ইডি। এই মর্মে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা দিল্লি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইডির এহেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, আইও জিআর বিভাগ থেকে এলডি সিজেএমের আদেশের একটি অনুলিপি এসেছিল, সেটা ইডি অফিসারদেরকে পাঠানো হয়েছিল। পরে রেকর্ডগুলো পরীক্ষার সময় জানা গিয়েছে যে জিআর বিভাগ থেকে আসা আদেশের অনুলিপিতে একটি লাইন অনুপস্থিত। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কোর্টের নজরে আনা হয়। নিম্ন আদালত জিআর অফিসের থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছিল এবং শুনানির পর একটি আদেশ জারি করে যে জিআরও-র অংশে কোনও অসাধুতার কারণে বাদ দেওয়া হয়নি। ইনভেস্টিগেশন অফিসার এবং জিআরও-র পক্ষ থেকে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না৷ আরও নিম্নকোর্ট আইও-কে আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডি আধিকারিককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Source: https://calcuttanews.tv/kolkata/calcutta-high-court-issues-stay-order-over-testing-voice-sample-of-ed-officials