Kolkata
oi-Kousik Sinha
তবে এদিন গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ উঠে আসে শুনানিতে। আদালত মনে করছে, এই মামলায় পূর্ণিমা কান্দুর যে অভিযোগ তা প্রথম দিকে পুলিশ গ্রহণ করেনি। তবে তা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পুলিশ নিজেদের তরফে যে এফআইআর করেছে তার ভিত্তিতেই তদন্ত এগোচ্ছে বলেও মনে করছে প্রধান বিচারপতির ভিডিশন বেঞ্চ।
এমনকি সুপ্রিম কোর্টের যে গাইডলাইন রয়েছে তাও এক্ষেত্রে পুলিশ মানেনি বলে মত আদালতের। এমনকি ঝালদা পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছে কোর্ট। আর তাই এই ঘটনায় কেস ডায়েরি খুব প্রয়োজন। আর সেই কারণেই তা আদালতের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এই মুহূর্তে তদন্তের অগ্রগতি কি রয়েছে তা জানিয়েও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। আর পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। তবে মামলা কোনদিকে যায় সেদিকেই নজর গোটা রাজ্যের।
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দেওয়া নির্দেশিকাতে তপন কান্দু’র পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন গত কয়েকদিন আগে রহস্যজনক ভাবে খুন হতে হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এমনকি ঘটনার পরেই কান্দুর পরিবারের দাবির পর দীপক কান্দু এবং ঝালদার আইসির টেলিফোনে কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর কথা বলা হচ্ছিল।
কিন্তু তপন কান্দু তৃণমূলে যোগ দিতে চাননি। আর সেই কারনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি পুলিশের একাংশ জড়িত বলেও দাবি উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্যের তরফে কড়া ভাবে তদন্তের কথা বলা হলেও ঘটনার এক সপ্তাহেরও বেশী হয়ে গিয়েছে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে দাবি পরিবারের।
আর সেই কারণেই সিবিআই চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ কান্দুর পরিবার। এখন দেখার আদালত নির্দেশে কি জানায়।
English summary
HighCourt wants submission of case dairy in Tapan Kandu murder case