জোর কদমে চলছে কলকাতা বইমেলার প্রস্তুতি, স্থগিত দিল্লির মেলা – banginews.com

কলকাতা নিউজ

কোভিড-১৯ এবং সেইসঙ্গে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মধ্যেও জোর কদমে চলছে ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা-২০২২’ এর প্রস্তুতি। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক ময়দানে শুরু হতে চলেছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। তা চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখেই এবারের কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী, বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক সত্যজিত রায়ের জন্মশতবর্ষ ও ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরকেও স্মরণ করা হবে এবারের বইমেলায়। আন্তর্জাতিক বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ অষ্টম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল এবারেও মেলা চলাকালীন অনুষ্ঠিত হবে। 

কিন্তু করোনার আবহে রাজ্যে বেশকিছু বিধিনিষিধে জারি করা হয়েছে। করোনা অতিমারির কারণেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভেল। করোনা সংক্রমণের কারণেই গত বছর কলকাতা বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু চলতি বছরেও সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও কলকাতা বইমেলা করার ব্যপারে আশাবাদী আয়োজক সংস্থা ‘কলকাতা বুক সেলার্স আ্যন্ড গিল্ড’। তাদের অভিমত চলতি বছরও মেলা বন্ধ হয়ে গেলে বইপ্রকাশকদের অনাহারে থাকতে হবে। 

গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি জানান, ‘বইমেলা করার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী। সল্টলেকের মেলা প্রাঙ্গণে আমি ব্যক্তিগতভাবে বইমেলার সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছি। আমরা প্রস্তুতি বন্ধ করে দেইনি।’

কিন্তু করোনার আবহের মধ্যে বইমেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে চ্যাটার্জি বলেন, ‘চলতি বছরে যদি বইমেলা অনুষ্ঠিত না হয়, তবে বহু বই প্রকাশকই অনাহারের মুখোমুখি হবেন। সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা বইমেলা করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞবদ্ধ। গত বছরে আমরা এই মেলা অনুষ্ঠিত না করতে পারার কারণে কলেজ স্ট্রিটের বহু প্রকাশককেই আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।’

সেক্ষেত্রে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বইমেলার আয়োজন করা হবে। যতটা সম্ভব খোলা-মেলা থাকবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। তাই বইমেলার স্টলের আয়তন শতকরা ৩৫ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্যানিটেশন ও ডবল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট’এর ওপরও জোর দেওয়া হবে।  

অপরদিকে করোনা অতিমারির কারণেই ৩০ তম ‘নিউ দিল্লি বিশ্ব বইমেলা’ (এনডিডব্লিউবিএফ) স্থগিত রাখা হয়েছে। ৮ থেকে ১৬ জানুয়ারি দিল্লির প্রগতি ময়দানে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঝড়ের গতিতে করোনা ও নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ‘দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’র নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী এই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

Source: http://www.banginews.com/web-news?id=55c37523923920c991c8d098cb0d81e6aa1b4f2f