CoronaVirus : দীর্ঘ দিন পর কোভিডমৃত্যু শূন্য কলকাতা, সর্বোচ্চ সংক্রমণে অশনিসঙ্কেত দার্জিলিঙে – News18 বাংলা

কলকাতা নিউজ

কলকাতা : সাড়ে তিন মাস পর কোভিডমৃত্যু (Covid19) শূন্য মহানগর ৷ কলকাতার ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান স্বস্তিদায়ক হলেও অশনিসঙ্কেত উত্তর ঘিরে ৷ কারণ শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে করোনা ভাইরাসে (CoronaVirus) সংক্রমিত হয়েছেন ৮৯ জন ৷ রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ ৷ এর পরই আছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন ৷ কলকাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬২ ৷ তুলনামূলকভাবে কম দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৷ সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ জন ৷ সংক্রমণের সংখ্যা বেশি বাঁকুড়াতেও ৷ সেই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৭২ জন ৷

সংক্রমণের সংখ্যা সবথেকে কম মুর্শিদাবাদে ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ জন ৷ মালদায় ৫ জন, পুরুলিয়ায় ৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন ৷ বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১১ জন করে ৷ পূর্ব বর্ধমানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২ জন ৷ দুই মেদিনীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্মিত ৬৪ জন করে ৷

দক্ষিণবঙ্গ সামান্য স্বস্তি দিলেও করোনার চোখরাঙানি উত্তরবঙ্গে ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ১৭ জন, কুচবিহারে ৪৫ জন, কালিম্পংয়ে ৪২ জন, জলপাইগুড়িতে ৫৭ জন এবং দুই দিনাজপুরে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ জন করে ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ জনের। এর মধ্যে ৩ জন হুগলির ২ জন নদিয়ার, ২ জন পশ্চিম বর্ধমানের,  ও ১ জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ৷

রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমণের হার দুই-ই নিম্নমুখী ৷ তবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় রাশ আলগা করতে কোনওমতেই রাজি নয় প্রশাসন ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ভারতে শেষ অবধি অতিমারির তৃতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ে কিনা তা নির্ধারণ করতে আগামী ১০০ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ রাজ্যে সার্বিক করোনা পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে, শুক্রবারই জেলাশাসকদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷

এই পরিস্থিতিতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে পর্যটনশিল্প ও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ৷ শুক্রবার নাকাতল্লাশি করা হয়েছে দিঘার প্রবেশমুখে ৷ কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের জারি করা নিয়ম অনুযায়ী, কোভিডের দু’টি টিকার শংসাপত্র ছাড়া কোনও পর্যটক দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর-সহ স্থানীয় সৈকতশহরগুলিতে ঢুকতে পারবেন না ৷ দু’টি ডোজের শংসাপত্র না থাকলে দেখাতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করানো র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা (র‌্যাট) বা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। এই শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শতাধিক পর্যটককে সপ্তাহান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সৈকতশহরের দোরগোড়া থেকে ৷

Source: https://bengali.news18.com/news/coronavirus-latest-news/sate-coronavirus-update-kolkata-witnesses-no-death-from-covid19-after-a-long-period-arc-628426.html