#কলকাতা: রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮,৪২৬ জন। মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ রাজ্যের। এরই মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতায় ৪ জায়গায় তৈরি হচ্ছে সেফ হোম। সেফ হোমে থাকতে চলেছে মোট ১৯০০ বেড। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুর দফতরের সাথে কলকাতা পুরসভা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেছে।
শহর কলকাতায় যে সব জায়গায় সেফ হোম বানানো হচ্ছে তার মধ্যে আছে কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, আলিপুর উত্তীর্ণ, কসবা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও আনন্দপুর সেফ হোম। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সেফ হোম বানানো হচ্ছে আনন্দপুরে। সেখানে থাকছে ৭০০ শয্যা। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে থাকছে ৫০০ শয্যা। আলিপুর উত্তীর্ণতে থাকছে ৫০০ শয্যা। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকছে ২০০ শয্যা।
এই সেফ হোমের বাইরে থাকবে ১০টি করে করোনা স্পেশাল অ্যাম্বুলেন্স। এই সেফ হোমে নিয়ে আসা হবে আক্রান্তদের। সেখানে খুব বাড়াবাড়ি হলে, আক্রান্তদের নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। আবার সুস্থ হয়ে গেলে ফেরত নিয়ে আসা হবে এই সেফ হোমেই। সে কারণে এই চার জায়গায়, ১৯০০ শয্যা প্রস্তুত করা হল দ্রুত। পুর দফতর সূত্রে খবর, প্রয়োজন হলে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্যানিটাইজ করা হবে এই সব সেফ হোম।করোনা কালের সব নিয়ম মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য সরকার চাইছে বিমানবন্দর কাছে হওয়ার জন্যে রাজারহাট ও নিউটাউনে জায়গা খোঁজা হচ্ছে। সেখানেও সেফ হোম বা কোয়ারেনটাইন সেন্টার বানানো হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী। পুর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি, রাজ্যসভার সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন, চিকিৎসক ও রাজ্যের উপদেষ্টা অভিজিৎ চৌধুরী হাজির ছিলেন এই বৈঠকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা ঠিক করা হয়েছে এই বৈঠকে। আগামীকাল থেকেই এই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
Source: https://bengali.news18.com/news/coronavirus-latest-news/wb-covid-situation-here-is-how-state-taking-measures-amid-coronavirus-second-wave-outbroke-587134.html