কলকাতার কাছেই সমুদ্র সৈকত, জানুন তথ্য, করে নিন বেড়ানোর প্ল্যান! – এই সময়

কলকাতা নিউজ
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: আরমাত্র ১০ দিন পর বিদায় নেবে ২০২০। বহুদিন ধরে অনেকেই দিনগোনা শুরু করেছিলেন কবে শেষ হবে এই ‘অভিশপ্ত’ বছর। এবছর বহুরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন সকলেই। ডিকশনারিতে যুক্ত হয়েছ করোনাভাইরাস, লকডাউন এসব নতুন শব্দ। করোনা আতঙ্কে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিল মানুষ। তাও ঠেকানো যায়নি সংক্রমণ। অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। এমনকী এই লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। পয়লা বৈশাখ থেকে দুর্গাপুজো কোনও উৎসবেই মেতে উঠতে পারেনি বাঙালি। আর তাই বছর শেষে গৃহবন্দি থাকতে না পেরে অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ি থেকে। কাছেপিঠে নানা জায়গায় নেমেছে পর্জ্ঞযটকের ঢল। বড়দিন আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সেই চেনা ছবি এবছর না থাকলেও মানুষের উৎসাহে খামতি নেই। মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ববিধি অনেকেই মেনে চলছেন না। আর যা চিন্তা বাড়াচ্ছে টিকিৎসকদে। মন ভালো করতে ঘুরতে অবশ্যই যান, সেই সঙ্গে অবশ্যই মেনে চলুন সুরক্ষাবিধি। বছরেরক শেষ সূর্যাস্ত কিংবা নতুন বছরেক প্রথম সূর্যোদয় দেখুন শহরের আশপাশের এই সমুদ্রতট থেকে। রইল তারই হদিশ।

বকখালি



কলকাতা থেকে মাত্র ১২৫ কিমি দূরে অবস্থিত বকখালি। পিকনিকের জন্য আদর্শ। এছাড়াও একদিনেই ঘুরে আসা যায়য়। বককআলিতে সমুদ্রের গভীরতা খুব একটা বেশি নয়। ভাটার সময় পিছিয়ে যায় অনেকটা দূর। এছাড়াও উইকএন্ড ট্রিপে বকখালি গেলে সেখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন জম্বুদ্বীপ, হেনরি আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ। সেই সঙ্গে নৌকাভ্রমণও হবে।

শঙ্করপুর



দীঘা থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে শঙ্করপুর। চারিদিকে ইউক্যালিপটাসের বন, নৌকো দাঁড়িয়ে, মাঝিরা যাচ্ছে মাছ ধরতে…শঙ্করপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোরম। এছাড়াও এই বিচে কোনও কোলাহল নেই। শহর থেকে একটা দিন একটু নিরিবিলিতে কাটাতে চাইলে অবশ্যই আসুন শঙ্করপুর। কলকাতা থেকে শঙ্করপুরের দূরত্ব ১৭৬ কিমি।

তাজপুর



কলকাতা থেকে ১৩৬ কিমি দূরে অবস্থিত এই বিচ। বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি স্পট হল তাজপুর। কেয়াফুলের নির্যাস আর জল-জঙ্গলে দুটো দিন প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে নেহাত মন্দ লাগে না। শঙ্করপুর থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত তাজপুর। তাজপুরে অনেক ভালো রিসর্ট আছে। ভালো ব্যাপার হল গাড়ি নিয়ে ঘোরা যায় বিচেও। এছাড়াও চুটিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট খেলুন সমুদ্রের পাড়ে।

মন্দারমনি



কলকাতা থেকে মাত্র ১১৭ কিমি দূরে অবস্থিত মন্দারমনি। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই চলে আসেন মন্দারমনিতে। সনুদ্র, ডাবের জল, নিরিবিলিতে বসে মাছভাজা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত মন্দারমনি। এছাড়াও সমুদ্র তটে ঘুরে বেড়াতে দেখবেন অজস্র লাল কাঁকড়ার দলকে।

নিউ দীঘা বিচ



পুরনেো দীঘার থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে তৈরি হয়েছে এই বিচ। হোটেলের বেশ কাছেই এই বিচ। সুন্দর প্ল্যানিং মাফিক তৈরি। বালিয়াড়িতে সঙ্গীর সঙ্গে হাতে হাত রেখে ঘুরতে আর নতুন বছরের সূর্যোদয় দেখতে অবশ্যই ঘুরে আসুন নিউ দীঘা।

গঙ্গাসাগর



প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে সারা দেশ থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এখানে। সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারতে আর কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিতে অনেকেই আসেন গঙ্গাসাগর। তবে গঙ্গাসাগরের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য রয়েছে। এখানকার সূর্যাস্ত খুবই বিখ্যাত।

হেনরি আইল্যান্ড



কলকাতা থেকে হেনরি আইল্যান্ড ১২৬ কিমি দূরে অবস্থিত। উনিশ শতকে ব্রিটিশদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল এই আইল্যান্ড। সেই ব্রিটিশ দার্শনিকের নাম অনুসারেই এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়।

হলদিয়া মেরিন ড্রাইভ



সেই প্রাচীন কাল থেকেই পণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় হলদিয়া নৌবন্দর। পাম গাছ আর পাথর ঘেরা নদীপথ ধরে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। কোস্ট গার্ড জেটিটি তাই এখানে খুব সুন্দর করে সাজানো। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১১৭ কিমি।

তালসারি



তালসারি ওড়িশার বালেশ্বর জেলার অর্ন্তভুক্ত। দীঘা থেকে দূরত্ব মাত্র ১০ কিমি। তালসারির প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই মনোরম। তালসারি থেকে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। নির্জনে নিভৃতে কটা দিন কাটাতে হলে অবশ্যই ঘুরে যান তালসারি থেকে। নারকেল আর কাজুর বাগানে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগবে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৯১ কিমি।

চাঁদিপুর



ওড়িশায় অবস্থিত চাঁদিপুর সমুদ্র তট হিসেবে খুবই বিখ্যাত। এখানে ভাঁটার টানে সমুদ্র পিছিয়ে যায় অনেকটা দূর। বিচ থেকে ৪ কিমির মধ্যেই রয়েছে সুন্দর হোটেল। বন্ধু ও পরিবারকে নিয়ে ঘোরার ক্ষেত্রে আদর্শ হল চাঁদিপুর। উইকেন্ড ট্রিপে ঘুরে আসুন।

পুরী



বাঙালির তীর্থক্ষেত্র পুরী। হেন কেউ নেই যে যিনি অন্তত একবার পুরী যাননি। পুরীর সমুদ্রে স্নান, জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়া, সূর্যমন্দির, উদয়গিরি, খন্ডগিরি-সহ একাধিক জায়গা রয়েছে। আছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। আর তাই সপরিবারে আনন্দভ্রমণ হিসেবে ঘুরে আসুন পুরী।

চন্দ্রভাগা



পুরীর কাছে অবস্থিত চন্দ্রভাগা সি বিচ। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৪৯৯ কিমি। সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার উপযুক্ত স্থান চন্দ্রভাগা। এছাড়াও ছড়িয়ে রয়েছে আরও নানা সৌন্দর্য।

পারাদ্বীপ



কলকাতা থেকে পারাদ্বীপের দূরত্ব ৪৫১ কিমি। কটক থেকে ৯৪ কিমি। সমুদ্রতটের সোনালী বালিতে পথ ধরে হাঁটতে আর দিগন্ত রেখা ছুঁতে অবশ্যই ঘুরে আসুন পারাদ্বীপ থেকে। বহুদিনের পুরনো স্পট হলেও এখনও খুব একটা ট্যুরিস্ট অখানে আসেন না।

Source: https://eisamay.indiatimes.com/lifestyle/news-on-travel/best-14-beaches-near-kolkata-for-a-quick-weekend-trip/articleshow/79827015.cms