কলকাতা-লন্ডন বিমান চালানোর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর – এই সময়

কলকাতা নিউজ

এই সময়: কলকাতা-লন্ডন বিমান পরিষেবা আরও বাড়ানো হোক। স্থায়ী হোক দু’জায়গার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ। কেন্দ্রের কাছে এই দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার নবান্নয় লন্ডন সিটি ট্যুরের আদলে কলকাতার পর্যটকদের জন্য দু’টি হুডখোলা দোতলা বাসের উদ্বোধন করেন মমতা। সেখানে তিনি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে লন্ডন-কলকাতা বিমান পরিষেবা স্থায়ী করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কলকাতা শুধুমাত্র পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব ভারতের নয়, সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলিরও গেটওয়ে। এখান থেকে সরাসরি লন্ডন বা ইউরোপ যাওয়ার যাত্রী রয়েছে। এই উড়ান বাড়ালে বাড়তি সুবিধা দিতেও তৈরি রাজ্য। আগের মুখ্যসচিব এ ব্যাপারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন। বর্তমান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আবার চিঠি দিতে বলেছি।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা আসার আগেই এই উড়ান বন্ধ হয়েছিল। এখন চালু হয়েছে। তবে সপ্তাহে দু’দিন করে চলছে। তা-ও ভায়া দিল্লি অথবা মুম্বই হয়ে যাচ্ছে।’

কলকাতা-লন্ডন সরাসরি বিমান পরিষেবা নিয়মিত চালু থাকলে রাজ্যের শিল্পায়নের পথ কিছুটা সুগম হবে। এমনটাই মনে করছে নবান্ন। তবে এই উড়ান চালু রাখার মূল সমস্যা যাত্রী না পাওয়া। আগে জেট এয়ারওয়েজের কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালু ছিল। সপ্তাহে তিন দিন এই উড়ান চালু থাকলেও ২০০৬ সালে মার্চে তা বন্ধ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত যাত্রী না মেলায় লোকসানের জন্যই সরে যায় জেট। কোভিড পরিস্থিতিতে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের আনার জন্য বন্দে ভারত মিশনে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালু হয়। সপ্তাহে দু’দিন এই বিমান চলছে। তবে কলকাতা থেকে যথেষ্ট সংখ্যক যাত্রী হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, যে ক’জন যাত্রী মিলছে, তাঁদের ৯০ শতাংশই ইকনমি ক্লাসের টিকিট কাটছেন। বিজনেস ক্লাসের যাত্রী মিলছে না। তাই বিমানটি ভায়া দিল্লি অথবা মুম্বই হয়ে লন্ডন যাচ্ছে। এর পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধও মানতে হচ্ছে যাত্রীদের। এর জন্যও যাত্রী কম হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালু রাখার পক্ষে সাওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘মানছি, লন্ডন থেকে বেশি যাত্রী হচ্ছে না এই বিমানে। এর কারণ কোভিড। এই বিমানে ওঠার জন্য ২৮ জন যাত্রী টিকিট কাটার পরও শেষে লন্ডন থেকে মাত্র ১৪ জন যাত্রী উঠতে পেরেছেন। বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পেশ করতে গিয়েই এই সমস্যা হয়েছে। অনেকেই আটকে যাচ্ছেন। আমরা বলছি, এ ক্ষেত্রে বিমানটি ভালো করে স্যানিটাইজ করে যাত্রীদের আনা হোক। আমাদের একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরাই বিমানবন্দরে র‍্যাপিড টেস্ট করে নেবো। যাঁদের পজিটিভ হবে, তাঁদের প্রোটোকল মেনে হাসপাতাল অথবা সেফ হোমে পাঠানো হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও কিছু ব্যবস্থা করতে হলেও রাজি আছি। তবে কলকাতা লন্ডন বা ইউরোপের সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ করা চলবে না।’

Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/chief-minister-mamata-banerjee-demanded-to-operate-kolkata-london-flight/articleshow/78646378.cms