নকশাল আমলে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন উত্তমকুমার – Kolkata24x7

কলকাতা নিউজ

কলকাতা: নকশাল আমলে উত্তমকুমারের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চোখে পড়ে গিয়েছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তখন যা তাকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি ফেলে দিয়েছিল৷ এমনই পরিস্থিতি যে, তিনি মুখ খুলতেই পারেননি, এমনকি বাধ্য হয়েছিলেন রাজ্যের বাইরে গিয়ে কিছুদিন থাকতে ৷ ফলে সেই রাজনৈতিক চাপে মহানায়কের ভুবন ভোলানো হাসিটাই কিছুদিনের জন্য উবে গিয়েছিল৷

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় বিখ্যাত( পড়ুন কুখ্যাত) নকশাল দমনের জন্য৷ সেসময় সন্দেহভাজন মনে হলেই কোনও রকম গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত লোকেদের৷ আর তারপর তাদের ময়দানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত৷ পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে বাড়ির দিকে হাঁটা দিলেই পিছন থেকে তাদের গুলি করে মারা হত৷ বলা হত ওরা পালানোর চেষ্টা করায় বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছে৷ সাধারণত ভোরেই দিকে ফাঁকা জায়গাই বেছে নেওয়া হত এমন কর্ম সম্পাদনের জন্য ৷

এরকম ভাবেই ১৯৭১ সালের ৫ অগস্ট ভোরে ময়দানে পুলিশ গুলি করে মেরেছিল নকশাল নেতা তথা কবি সরোজ দত্তকে৷ শোনা যায় ঠিক ওই সময় সেখানে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন উত্তমকুমার৷ তাঁর চোখের সামনে এমন নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড ঘটায় তিনি ভীষণভাবে একটা ট্রমার মধ্যে ছিলেন ৷

তারপর তিনি নাকি প্রাতঃভ্রমণ বন্ধ করে দেন৷ পর পর কয়েকদিন শুটিংয়ে যাননি৷ এমনকি কিছুদিনের জন্য তিনি রাজ্যের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন৷ মহানায়কের এই পলায়নী মনোভাবের জন্য অনেকে তাঁর সমালোচনা করে থাকেন৷ বিশেষত নকশাল মনোভাবাপন্ন মানুষেরা হতাশ হন তাঁর এই আচরণে৷ প্রশ্ন তোলেন, কেন তিনি সাহস করে মুখ খুলতে পারলেন না।

ওই হত্যাকান্ডের জন্য সরকারের পক্ষে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার চাপ ছিল তা বোধহয় বুঝতে আজ কারও অসুবিধা হয় না৷ কিন্তু উত্তমকুমার তাতে রাজি ছিলেন না বরং বার্তা দিয়েছিলেন আদালতে ডাকলে তিনি যা দেখেছেন সেটাই বলবেন৷ বলাই বাহুল্য এমন বার্তায় খুশি হওয়ার কথা নয় অন্তত ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা জারির পিছনে থাকা যার মাথা বলে পরিচিত সেই মানুবাবুর। তখন আদালত এড়াতে মহানায়ক ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

পপ্রশ্ন অনেক: সপ্তম পর্ব

করোনা আর আমফানের জোড়া ধাক্কা। প্রত্যন্ত এলাকায় কীভাবে চলছে পড়াশোনা?

[embedded content]

Source: https://www.kolkata24x7.com/uttam-kumar-left-calcutta-during-naxal-movement/