যুদ্ধ নয়, শান্তি ফিরে আসুক…মা কালীর কাছে আকুল আর্তি শহরের চিনে পাড়ার বাসিন্দাদের – News18 বাংলা

কলকাতা নিউজ

কলকাতার ট্যাংরার চিনা বসতি কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য ।

  • Share this:

#কলকাতা: মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে পূর্ব লাদাখে উত্তেজনা তৈরি হয়ে রয়েছে । সোমবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আগেও ৫ মে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে হাতাহাতি হয়েছে দুই সেনার মধ্যে । সেনা সূত্রে খবর , এর পর থেকে, গত এক মাস ধরে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে এলওসি-র দু’পারে। দু’দিকেই চলেছে প্রস্তুতি, সেনা সমাবেশ । সেই উত্তেজনা প্রশমনে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষে । এমনকি সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকেই উত্তেজনা প্রশমন করতে পিছিয়ে আসার কথা ছিল দু’পক্ষের সেনারই । কিন্তু তার মধ্যেই সোমবার রাতে গালওয়ান নদীর তীরে শুরু হয়ে যায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ । ৫৩ বছর আগে নাথু-লা এবং চো-লাতে  প্রকৃত অর্থে শেষ বড় সংঘর্ষ হয় । তার পর এই পর্যায়ের সংঘর্ষ আর কখনও হয়নি ।

এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে ওই সংঘর্ষে । গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে । সেনা সূত্রেই ইঙ্গিত , মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে । অন্যদিকে চিনের তরফ থেকে হতাহতের কথা স্বীকার করা হলেও, কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি । তবে ভারতীয় সেনার দাবি ,  ৪৩ জন হতাহত হয়েছে চিনের পক্ষে ।

কলকাতার ট্যাংরার চিনা বসতি কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্য । বহু বছর আগে চিনের বহু মানুষ কর্মসূত্রে বা ব্যবসা সূত্রে এখানে চলে আসেন । আর তারপরে সন্তান-সন্ততিরা নিয়ে এখানেই থেকে যান । কালক্রমে নাম হয় চায়না টাউন ।  সেখানকার আদ্যন্ত ভারতীয় এই চিনা মানুষরা চান অবিলম্বে শান্তি ফিরে আসুক । একের পর এক রেস্টুরেন্ট , তার মধ্যে মাথা গুঁজে থাকেন এখানকার বাসিন্দারা । বেশিরভাগেরই জন্ম শহরের বুকেই । তবে আত্মীয় স্বজন অনেকেই চিনে থাকেন । জন্মসূত্রে ও বসবাসের কারণে এই মানুষগুলোর কাছে ভারতই সব ।

তবু টান তো থেকেই যায় চীনের জন্য ! তাতে কি, ৬২ বছরের মাইকেল চ্যাং-এর  চায়না টাউনে জন্ম । নামজাদা রেস্তোরাঁর প্রধান রাঁধুনি তিনি । ঘরের দরজায় ঢুকতেই মা কালী , রামকৃষ্ণ দেব , সারদামনি’র ছবি লাগানো । পাশে জ্বলছে ধূপকাঠি । যখনই বাড়িতে ঢোকেন ছবিতে প্রণাম করে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেন । চিন-ভারত সংঘর্ষের পরে বারবার মা কালীর কাছে প্রার্থনা করছিলেন যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফিরে আসুক । শহিদ ভারতীয় সেনাদের জন্য দুঃখে বুক ফেটে যাচ্ছে মাইকেলের । তাঁর একটাই কথা, এসব যুদ্ধ বড় বড় লোকেদের ব্যাপার । আমরা সাধারন মানুষ এসবের  কী বুঝি ! তবে যে সমস্ত সৈন্য মারা গেল তাঁদের মায়ের বুক খালি হল । এটাই সব থেকে কষ্টের । মা কালীর কাছে সবসময় প্রার্থনা করছি যাতে সবকিছু ঠিক হয়ে যায় ।

৬৮ বছর বয়সী টনি লিং । চায়না টাউনের একটি ছোট রেস্টুরেন্টের মালিক । চায়নাটাউনে যে চাইনিজ কালী মন্দির রয়েছে , সেখানে প্রতিদিন তিনি প্রার্থনা করছেন , যাতে ভারত-চিন সংঘর্ষ মুছে গিয়ে প্রত্যেকে যেন সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে পারে । কোনও মায়ের বুক খালি না হয় । তিনি বলেন ,  ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই ।’

ABHIJIT CHANDA

Published by:
Shubhagata Dey

First published:
June 18, 2020, 5:51 PM IST

পুরো খবর পড়ুন

Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/kolkata-china-town-talked-against-india-china-standoff-sdg-462997.html