উম্পুনে অন্তত ৫০০০ গাছ হারাল কলকাতা – এই সময়

কলকাতা নিউজ

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে কলকাতা জুড়ে হাজার পাঁচেক গাছের মৃতদেহ, অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের মাত্র ১২০ জন কর্মী। সারা রাত অসম যুদ্ধ চালিয়েও শহরের রাজপথ সচল করতে পারলেন না মুষ্টিমেয় সাহসীরা। দিনভর বিদ্যুৎ, জল ও মোবাইল পরিষেবার অভাবে বিরক্তির পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হল শহরবাসীর।

কত গাছ পড়েছে কলকাতায়?

‘দু’তিনশো নয়, অন্তত পাঁচ হাজার!’ বললেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে শহর কার্যত গাছের শ্মশানে পরিণত হয়েছে। উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ— বাদ নেই কলকাতার কোনও অঞ্চলই। এর মধ্যে উত্তর কলকাতার রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড, বাগবাজার স্ট্রিট, বিধাননগর রোড, ক্যানাল ইস্ট রোড, ক্যামাক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, বেহালা, লেক চত্বর, কসবা, গল্ফ গ্রিন, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, যাদবপুর — তালিকায় বাদ নেই কোনও পাড়াই।

ঝড়ের দাপট কিছুটা কমতেই শহরের সব প্রান্ত থেকে খবর আসতে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং পুরকর্মীদের কাছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরের রাজপথগুলো ফের দ্রুত যাতায়াতের উপযুক্ত করে তুলতে পথে নামেন তাঁরা। তখনও মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে। সেই পরিস্থিতিতেও দমে না গিয়ে বৈদ্যুতিক করাত হাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। যেখানে গাছের আকার প্রকাণ্ড, সেক্ষেত্রে গাছ কেটে টুকরো করে রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখা হয়। না হলে গোটা গাছটাকেই ঠেলে পথের পাশে সরিয়ে রাজপথ গাড়ি চালানোর উপযুক্ত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, এই পরিস্থিতি সামলানো মাত্র ১২০ জন কর্মীর কাজ ছিল না।

ফল যা হওয়ার তাই হল। বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে বিকাল হওয়ার পরেও শহরের বেশির ভাগ জায়গাই বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকার হয়েই রইল। পানীয় জলের অভাবে বহুতল থেকে বস্তি — সবাই একরাশ বিরক্তি নিয়ে লাইন দিলেন পুরসভার কলে। কিন্তু গোটা শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা গাছ সরিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক করে তোলা কোনও জাদুমন্ত্রে সম্ভব ছিল না।

Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/cyclone-amphan-impact-kolkata-lost-at-least-5000-trees/articleshow/75882700.cms