লকডাউন মিটলে কেমন হবে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা ? জেনে নিন – News18 বাংলা

কলকাতা নিউজ

কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বা ফেস শিল্ড পরা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

  • Share this:

#কলকাতা: দেশের ১৫টি রুটে চালু হল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। ধাপে ধাপে বাড়তে পারে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা শহরের লাইফলাইন মেট্রো নিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখছে কলকাতা মেট্রো রেল। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরে ফেলেছেন আধিকারিকদের সঙ্গে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কিভাবে মেট্রো চালানো সম্ভব তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। কলকাতা মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় থেকে সাত লক্ষ প্রতিদিন। সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন মেট্রো চলে ২৮৮ টি। শনিবার চলে ২৩৬ টি। রবিবার মেট্রো চলে ১২৪টি। একই রকম ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কলকাতার নবতম সংযোজন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। যদিও তাতে খুব একটা যাত্রী হয়না বলে সামাজিক দুরত্ব মেনে ট্রেন চালানো যাবে বলে মনে করেন মেট্রো আধিকারিকরা।গত ১২ মে মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক।

আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পরে ধাপে ধাপে এই পরিষেবা বাড়তে পারে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফের শুরু হলে সতর্কতা বজায় রেখে গণপরিবহণও চালু করার বিষয়টি ভাবা হতে পারে। সেই অবস্থায়  হঠাৎ কোনও সরকারি নির্দেশ জারি হলে কয়েক ঘণ্টার নোটিসে পরিষেবা শুরু করে দিতে হতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রোকর্তারা। সেই কারণেই মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশ থেকে টোকেন কেনা বা মেট্রোয় চড়া সব কিছু নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।

স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি টোকেন কেনার কাউন্টার আলাদা করা হচ্ছে। মেট্রো সূত্রের খবর, দুটি লাইনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে পাশাপাশি দুটি কাউন্টার খোলা হবে না। মাঝে একটি করে কাউন্টার ছেড়ে রাখা হবে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পথে একসঙ্গে অনেকে যাতায়াত করা যাবে না। প্রয়োজনে গেটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যাত্রীদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বা ফেস শিল্ড পরা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময়ে স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে।  স্যানিটাইজার রাখা হবে টোকেন কাউন্টারে। ট্রেনের কামরায়  সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলার জন্য, বসার এবং দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা পৃথক ভাবে রং দিয়ে চিহ্নিত করা হতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদিন টোকেন ধোয়ারও ব্যবস্থা স্টেশনে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটি মেট্রো স্টেশন ধোয়া-মোছার পাশাপাশি রেকগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। সেই কাজ চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও। তবে নতুন করে মেট্রো পরিষেবা কবে আবার শুরু হবে, সেটা নির্ভর করছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপরে।

কলকাতা-সহ দেশের ৬টি বড় শহরে সংক্রমণের হার এখন ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার দিকেও তাকিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও এক মেট্রো আধিকারিক জানিয়েছেন, “কলকাতা শহরের একটা বড়  অংশ এখন মেট্রো ব্যবহার করেন। ফলে সামাজিক দুরত্ব মেনে মেট্রো চালানো একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছেও। কারণ অফিস টাইমে যত সংখ্যক লোক মেট্রো ব্যবহার করেন তাদের জন্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখানো বেশ কঠিন কাজ।” সমস্যার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রাক্তন রেল আধিকারিক সুভাষ রঞ্জন ঠাকুর। তিনি বলেন, “পরীক্ষামূলক ভাবে ক্রাউড কন্ট্রোল বা ভিড় ঠেকিয়ে যতটা সম্ভব সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই মেট্রো চালানোর পরীক্ষা করার এটাই এখন সময়। তাহলে বাকি অংশ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।”

আবীর ঘোষাল

Published by:
Siddhartha Sarkar

First published:
May 13, 2020, 9:46 AM IST

পুরো খবর পড়ুন

Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/these-things-passengers-have-to-maintain-while-travelling-in-kolkata-metro-after-lockdown-ss-449597.html