করোনায় কম্পিত নয় কলকাতা – DW (বাংলা)

কলকাতা নিউজ

দোলযাত্রা কিংবা বসন্ত উৎসব, যে নামেই ডাকা হোক, এবছর তা পালিত হয়নি শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ কারণ, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়৷ এই বসন্তে বাংলায় এই নজিরবিহীন অঘটনই সবথেকে বড় খবর৷

ওদিকে করোনা আতঙ্কে এ বছরের হোলি উৎসবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ বাতিল হয়ে যাচ্ছে এক একটি সরকারি অনুষ্ঠান৷ এই আতঙ্কের আবহে কলকাতাতেও দোলপূর্ণিমার চিরাচরিত রং খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না, এরকম একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ অন্তত শহরের বিভিন্ন বাজারে রঙের দোকানে অন্যান্যবারের তুলনায় যথেষ্ট কম ভিড় এবার কারণ হয়েছিল উদ্বেগের৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত রং বা রঙিন আবীর খেলা প্রতীকি স্তরে থাকলেও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হল প্রভাত ফেরী, নাচ, গান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ করোনা ভাইরাসের ভ্রুকুটি অগ্রাহ্য করেই রীতিমত ভিড় হল সেই সব অনুষ্ঠানে৷

দক্ষিণ কলকাতায় শহরের মেয়র এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিবারের মতো রংও খেলেন৷ রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আয়োজন করেন এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার৷ এলাকার নারীরা সেই পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন সঞ্চারী চক্রবর্তী৷ সঙ্গীতশিল্পী সঞ্চারি তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে এই শোভাযাত্রায় গান গাইতে গাইতে হেঁটেছেন৷ ভয় করেনি৷ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন সঞ্চারী৷ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রাথমিক যে সাবধানতা নেওয়া দরকার, সেটা তিনি বা তাঁর মেয়েরা নিয়েছেন৷ যেমন অন্য কারও সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ না হওয়া, হাতে–মুখে রং না মাখানো৷ কিন্তু তা বাদ দিয়ে এই সমবেত উদযাপনে তাঁর পরিবারের কোনও দ্বিধা ছিল না৷

ওদিকে এই প্রথম শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীতে বন্ধ থাকল বসন্ত উৎসব৷ প্রতিবছরই এই উৎসব দেখতে বহু মানুষ আসেন, এবারও এসেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের বিশ্বভারতী চত্বরে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ ব্যারিকেড দিয়ে কার্যত অবরুদ্ধই রাখা হয়েছিল ছাতিমতলা, আম্রকুঞ্জ৷ করোনাই কি বাঁচিয়ে দিল? 

Source: https://www.dw.com/bn/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE/a-52696574